দেশের নিট গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) ২০১২-১৪ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর সম্মিলিত নিট পরিষদের দলনেতা সেলিম ওসমান দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়ে বলেছেন, ‘‘আগে যেসব কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে ও করতে পারি নাই সেগুলো সম্পন্ন করাটাই এখন হবে মূল লক্ষ্য। আগে যা হয়েছে, তা ভুলে যেতে হবে। নির্বাচন নিয়ে অনেক কিছুই হতে পারে। কিন্তু এখন সেগুলো ভাবলে হবে না। এখন আমাদের নিট সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। আমি আশা করি, সকলে এগিয়ে আসবেন।’’
সোমবার বিকেলে শহরের চাষাঢ়ায় বিকেএমইএ’র নারায়ণগঞ্জ প্রধান কার্যালয়ে নির্বাচিত পরিচালকদের উপস্থিতিতে পরিচালকদের সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
২০১০ সালে অনুষ্ঠিত সবশেষ নির্বাচনেও তিনি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, সেলিম ওসমান হলেন নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের বড় ও নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের এমপি নাসিম ওসমানের ছোট ভাই।
সেলিম ওসমান সামনের দিনগুলোতে নিট শিল্প মালিকরা যেন ব্যবসা পরিচালনায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পান, শ্রম অসন্তোষ না ঘটে, নতুন নতুন বাজার সম্প্রসারণ করা এবং সকল পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে আন্তর্জাতিকভাবে বিকেএমইএকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি বিকেএমইএ’র ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ কর্মসূচির আওতায় নির্বাচনোত্তর যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার প্রদান করেন।
তার প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিলো, নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএ’র প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা, বিকেএমইএ’র ঢাকা অফিস স্থায়ীভাবে স্থাপনের জন্য বায়নাকৃত জায়গা রেজিস্ট্রি করা, ট্রেনিং সেন্টারটির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করা ইত্যাদি।
বাংলানিউজকে সেলিম ওসমান আরো বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য এখন অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামুখর। নিট শিল্পের মতো একটি সম্ভাবনাময় শিল্পের সম্পূর্ণ বিকাশের জন্য অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির আধুনিক মাধ্যমের ব্যবহার সময়ের প্রয়োজনে অতীব জরুরি। তাছাড়াও কৌশল নির্ধারণের আগে আর্থিক তথ্যের আনুপাতিক বিশ্লেষণ, বাজার ব্যবস্থাপনার ধরন সম্পর্কে অবহিত হওয়া এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের চাহিদার সঙ্গে বাংলাদেশের সরবরাহ ব্যবস্থাপনার একটি প্রতিচিত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা জরুরি। অন্যথায় উৎপাদন ও শিল্প ব্যবস্থাপনা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ফলশ্রুতিতে শিল্প প্রতিষ্ঠান অনেক ক্ষেত্রেই মুখ থুবড়ে পড়ে।
সে জন্যই সেলিম ওসমান ও তার পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই জাপান, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, ব্রাজিল, পোল্যান্ড ইত্যাদি দেশে নতুন বাজার সম্প্রসারণের কাজ ব্যাপকভাবে চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।