চট্টগ্রাম এবং নারায়ণগঞ্জে প্রথমে আংশিক পরীক্ষামূলক ব্যবহার। পরে কুমিল্লায় শতভাগ ব্যবহারেও সফল। তবুও রাজনৈতিক মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে শরীয়তপুর উপনির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করবে না নির্বাচন কমিশন।
এজন্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর ‘চোখ বুজে কাউয়া ধরা’ নীতিকে দায়ী করেছে।
রোববার এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখনো বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা ইভিএম সম্পর্কে যা তা বলে বেড়াচ্ছেন’।
তিনি বলেন, ‘তারা এখনো পৃথিবীর নানা দেশের ইলেক্ট্রনিক ভোটিং (ই-ভোটিং) নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু ইভিএম সম্পর্কে কিছু জানেন বলে মনে হয় না’।
ছহুল বলেন, ‘কুমিল্লায় ইভিএম’র সফল ব্যবহার হয়েছে। এর আগে নারায়ণগঞ্জেও বিষয়টি সবাই ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন’।
তিনি জানান, ১৯ জানুয়ারি নরসিংদী পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনেও শতভাগ ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এ নির্বাচনে ৩১টি ভোটকেন্দ্রের ১৯৮টি ভোটকক্ষে ৭৭ হাজার ৫৯৮ ভোটার ইভিএমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
এরমধ্যে ৩৮ হাজার ২৫৬ পুরুষ ভোটার ও ৩৯ হাজার ৩১৬ মহিলা ভোটার রয়েছে।
তিনি বলেন, নরসিংদী উপনির্বাচন উপলক্ষে এরমধ্যেই ওই জেলার বাইরের ৯ ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। বুধবার থেকে ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতার কাজ শুরু হবে। এছাড়া নির্বাচনের কাজে অংশগ্রহণকারীদেরও নির্বাচন কমিশন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
ছহুল বলেন, এ উপনির্বাচনে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ব্যবহৃত সব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, শরীয়তপুর নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এটা জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ ছাড়া ইসি ইভিএম ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দলগুলো আমাদের স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিল। আমরা তা সফলভাবে করে দেখিয়েছি। জনগণ তা গ্রহণ করেছেন’।
আগামী সপ্তাহের শুরুতেই শরীয়তপুর উপনির্বাচনের তফসিল হতে পারে বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য হয়।