সদ্যসাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন তার দপ্তর পরিবর্তনে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সময় নিউইয়র্ক অবস্থানকারী সাহারা তার পারিবারিক পরিমণ্ডলে বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে একটি পারিবারিক সূত্র।
সূত্রটি বাংলানিউজকে জানায়, সাহারা খাতুনকে মন্ত্রণালয় পরিবর্তন সম্পর্কে আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। সেকারণেই মনে অসন্তোষ তার। তিনি পারিবারিক পরিমণ্ডলে এ-ও বলেছেন, অনেক কাগজপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রয়ে গেছে। সেগুলো গুছিয়ে নেয়ারও সময় পেলেন না তিনি।
তবে নিউইয়র্কে একটি আলোচনাসভায় সাহারা খাতুন দাবি করেন, তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সফল ছিলেন। ডাক বিভাগের উন্নয়নের জন্যই প্রধানমন্ত্রী তাকে নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শনিবার রাতে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন সাহারা খাতুন।
এর আগে ওই দিন বিকেলে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের পালকি সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এক সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন সাহারা। এসময় তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। ডাক ও তার বিভাগের উন্নয়ন নিশ্চিত করতেই প্রধানমন্ত্রী আমাকে নতুন দায়িত্বে দিয়েছেন।“
তিনি বলেন, “এখানেও সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে উন্নয়ন করবো।”
যুক্তরাষ্ট্র সফররত আওয়ামী লীগ এই নেত্রীকে নিয়ে আয়োজিত সভায় উপস্থিত অনেকেই অবশ্য বলেছেন মুখে এসব কথা বললেও সাহারা খাতুনের বক্তব্যে কিছুটা ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তবে এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের পুরোপুরি এড়িয়ে যান সাহারা খাতুন।
উল্লেখ্য, সাহারা খাতুন পালকি সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভায় একথাও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত সফরে এলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
পালকি সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ ।
পরে স্থানীয় সময় রাতে ১১টায় তিনি জেএফকে বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন।