বেনজিরের নির্দেশেই বিদেশে পরমাণু প্রযুক্তি পাচার : কাদির খান

বেনজিরের নির্দেশেই বিদেশে পরমাণু প্রযুক্তি পাচার : কাদির খান

পাকিস্তানের পরমাণু প্রকল্পের জনক হিসেবে পরিচিত আলোচিত পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খানের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনার ঝড়।

সম্প্রতি তিনি দাবি করেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত বেনজির ভুট্টোই তাকে দু’টি দেশে পরমাণু প্রযুক্তি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

পাকিস্তানের জং মিডিয়া গ্রুপের সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কাদির এ বক্তব্য উপস্থাপন করলেও দেশ দু’টির নাম উল্লেখ করেননি তিনি।

বেনজির ভুট্টোর নির্দেশ পালন ছাড়া তার আর কোনো উপায় ছিলো না বলে এ সময় দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে ২০০৭ সালে আত্মঘাতী হামলার শিকার হন বেনজির। নির্বাচনে অংশ নিতে দেশে ফিরেছিলেন তিনি।

আব্দুল কাদির বলেন, ‘পরমাণু প্রযুক্তি হস্তান্তর করা সহজ কোনো বিষয় নয়, কারণ সমগ্র প্রক্রিয়ার সঙ্গে কমপক্ষে ৮শ’ লোক জড়িত থাকে।

বিদেশে পরমাণু প্রযুক্তি পাচারের অভিযোগে মার্কিন চাপে আব্দুল কাদিরকে গৃহবন্দী করে রাখে পাকিস্তানের তৎকালীন সেনা শাসক পারভেজ মোশাররফ। তবে পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে তার বিরুদ্ধে আরোপিত কড়াকড়ি শিথিল করে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জারদারির নেতৃত্বাধীন পিপলস পার্টির সরকার।

এছাড়া ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম পারমাণবিক বিস্ফোরণের ব্যাপারে কাদির খান বলেন, নওয়াজ শরীফ এর কৃতিত্ব দাবি করলেও আসলে তিনি তখন এর বিস্ফোরণ ঘটাতে চাননি।

কাদির দাবি করেন, এ সময় মার্কিন প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ভীত ছিলেন নওয়াজ। নওয়াজের আশঙ্কা ছিলো পারমাণবিক বিস্ফোরণে অসন্তুষ্ট হয়ে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো তার সরকারের পতন ঘটাতে ইন্ধন যোগাবে।

১৯৯৮ সালের পারমাণবিক বিস্ফোরণের কৃতিত্ব দাবি করে কাদির খান বলেন, ভারতের পারমানবিক বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়ায় মূলত তার চাপাচাপিতেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার নির্দেশ দেন নওয়াজ শরীফ।

দাবি না মানলে মিডিয়ার সামনে সব গোপন তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিলে নওয়াজ বাধ্য হয়েই পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটাতে রাজি হন বলে এ সময় উল্লেখ করেন কাদির খান।

আন্তর্জাতিক