বিতর্কিত মার্কিন চলচ্চিত্র: কূটনীতিকপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার

বিতর্কিত মার্কিন চলচ্চিত্র: কূটনীতিকপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার

বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসসহ গোটা কূটনীতিকপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত একটি চলচ্চিত্রে মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) অবমাননার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে  মুসলমানরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক দেশে ব্যাপক সহিংসতারও খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে কূটনীতিকপাড়ায় বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।

শনিবার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের ডিসি (সদর) হাবিবুর রহমান।

তিনি জানান, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসসহ পুরো কূটনীতিকপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও কার্যালয়, আদালতপাড়া, সচিবালয়সহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সব দূতাবাসসহ রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন স্থানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

‘ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ নামে ওই চলচ্চিত্র ইন্টারনেটে প্রকাশের জেরে মার্কিনবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল এখন সারা বিশ্ব। এ সুযোগে এদেশেও জঙ্গিসহ কিছু কট্টর ইসলামী দল হঠাৎ করে তৎপর হয়ে উঠতে পারে বলে গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন।

গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। সেখানে মার্কিন পতাকা পোড়ানোসহ মার্কিনবিরোধী নানা স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে, শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করে শিবির। এ মিছিলে বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে।

একইভাবে রাজধানীতে যেকোনো মুহূর্তে মিছিল বের করে ভাংচুর চালানো হতে পারে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে,  মূলত শুক্রবার থেকে গোয়েন্দাদের নির্দেশে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও বাসভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট, নিম্ন আদালত, সচিবালয়, মার্কিন দূতাবাসসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের দূতাবাস, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অফিস, শেরাটন হোটেল, সোনারগাঁও হোটেলসহ সব তারকা হোটেল, গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও রাজধানীর বিভিন্নস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।

সূত্র আরো জানায়, আগে নিয়োজিত পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন নিরাপত্তার স্বার্থে থাকলেও সাদা পোশাকে গোয়েন্দাদের এসব স্থানে রাখা হয়েছে সার্বক্ষণিক। গোয়েন্দারা দিনের বেলা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। যানবাহন চলাচলে কড়া গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) হাবিবুর রহমান বলেন, “আমরা পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি, যাতে কেউ এ ঘটনাকে পুঁজি করে রাজধানীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।”

কূটনীতিকপাড়াসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। এছাড়া, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ