বিকেএইএ নির্বাচন: অস্তিত্বের লড়াইয়ে জয়ী সেলিম ওসমান

বিকেএইএ নির্বাচন: অস্তিত্বের লড়াইয়ে জয়ী সেলিম ওসমান

গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এর দ্বি বার্ষিক (২০১২-২০১৪) নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বর্তমান সভাপতি সেলিম ওসমানের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত নিট পরিষদ। ২৭টি পরিচালক পদে সেলিম ওসমানসহ ২২ জন জয়ী হয়েছেন। অপরদিকে, সাবেক সভাপতি ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন প্রগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স প্যানেল থেকে ফজলুল হকসহ ৫ জন জয়ী হয়েছেন।

এদিকে, গতবারের মত এবারের নির্বাচনেও সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন বর্তমান পরিষদের সহ-সভাপতি ও সম্মিলিত নিট পরিষদের নেতা মোহাম্মদ হাতেম। তিনি পেয়েছেন ৫০৪ ভোট।

শনিবার সকাল ৯টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডের মিলনায়তন ও ঢাকার বাংলামোটর এলাকায় প্ল্যানার্স টাওয়ারে বিকেএমইএ কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে ৬৫২ জন ভোটারের মধ্যে ৫৯৮ জন ভোট দিয়েছে।

রাত ৯টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্র থেকে মাইকে ফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন বোর্ডের সদস্য প্রবীর কুমার সাহা বাংলানিউজকে জানান, নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রে ২০ ও ঢাকার কেন্দ্রে ৫টি ভোট নষ্ট হয়েছে। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের হার হলো ৯১ দশমিক ৬ ভাগ।

নির্বাচিতরা হলেন সম্মিলিত নিট পরিষদের – মোহাম্মদ হাতেম, হাবিবুর রহমান, মঞ্জুরুল হক, সাজাহান আলম, গোলাম জাকারিয়া ভূঁইয়া মঞ্জু, আবু আহম্মেদ সিদ্দিক, মনসুর আহমেদ, জিএম ফারুক, এ এইচ আসলাম সানি, শামীম আহম্মেদ, শ্যামল কুমার সাহা, একেএম সেলিম ওসমান, এমরান হোসেন মিঠু, সফিকুজ্জামান, হুমায়ূন কবির খান শিল্পী, আসাদুল ইসলাম, সামসুজ্জামান, মোস্তফা জামাল পাশা, জামালউদ্দিন, মহিউদ্দিন ফারুকী, মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী ও মজিবুর রহমান।

সাবেক সভাপতি ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন প্রগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স এর নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন ফজলুল হক, ফজলে এহসান শামীম, কাশেম জামাল, একেএম জাহিদুল হক ভূঁইয়া দিপু ও মাসুদুজ্জামান।

এদিকে, সেলিম ওসমানের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত নিট পরিষদের নিরঙ্কুশ বিজয়ে আনন্দে মেতে উঠেছে প্রাথী, ভোটার ও সমর্থকরা। বিজয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শহরের মিষ্টির দোকাগুলোতে ছুটে যান ভোটাররা। মিষ্টি কিনে একে অপরকে খাইয়ে ভাগাভাগি করেন জয়ের আনন্দ। সেলিম ওসমান প্যানেলের জয়ী প্রার্থীদের নাম ধরে দিতে থাকে মুহু মুহু স্লোগান। এছাড়া বিজয়ের খবরের সাথে সাথে শহরের প্রধান সড়কে মিউজিক সিস্টেম, ঢোল ও তবলা বাজিয়ে নেচে গেয়ে মেতে ওঠে সমর্থকরা। বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে শহরের সড়ক মাতিয়ে তোলে তারা। অনেক সমর্থক প্রার্থীদের চলার পথে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

প্রসঙ্গত, এবারের বিকেএমইএ নির্বাচনটি ছিল সেলিম ওসমান ও ফজলুল হকের জন্য অনেকটাই অস্তিত্বের লড়াই। গত কয়েক মাস ধরেই নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের নাটকীয় ঘটনা ঘটছিল। সর্বশেষ শনিবার ভোটগ্রহণ শেষে বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডের ভোটকেন্দ্রের বাইরে পুলিশের সঙ্গে শিবির ক্যাডারদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।

নির্বাচনে সেলিম ওসমানের নেতৃত্বাধীন প্যানেল ২৭টি পদে পূর্ণ প্যানেল দিলেও ফজলুল হকের প্যানেল পূর্ণ হয়নি। নির্বাচনে তাদের প্যানেল থেকে ২৫ জন অংশ নেয়। নির্বাচনের আগে তাদের ৫জন প্রার্থী প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। ৩ জন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল হলেও পরে তারা আপিল করে বৈধতা পান।

অর্থ বাণিজ্য