সব বিত্তশালীকে করের আওতায় আনার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর

সব বিত্তশালীকে করের আওতায় আনার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর

খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সব বিত্তশালীকে করের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে শহরের কর ফাঁকিবাজদের।

শনিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সেরা আয়কর দাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

খাদ্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘পশ্চিমা বিশ্বকে কল্যাণমূলক বিশ্ব বলা হয় তাদের কর কাঠামোর কারণে। আমাদের দেশে কর-জিডিপির অনুপাত সাড়ে ১০ শতাংশ। দেশের কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে এ অনুপাত ১৪ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং রাজস্ব কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে।’’

মন্ত্রী বলেন, দেশের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। গ্রামের অনেক মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো। তাদের অনেকের দালান-কোঠা আছে। গ্রামের ধনী ব্যক্তিদেরও করের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

এনবিআর’র চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-এনবিআর’র সদস্য (করনীতি) সৈয়দ মো. আমিনুল ইসলাম, সদস্য (কর জরিপ ও পরিদর্শন) মো. শাহজাহান, সদস্য এমএ কাদের সরকার প্রমুখ।

আলোচনা সভায় এনবিআর’র চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ আয়কর মেলায় অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে কর পরিশোধের জন্য জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে কর মেলায় অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আয়কর খাতকে শক্তিশালী করার জন্য রাজস্ব বোর্ডের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে কর বিভাগের সম্প্রসারণ ও পুনর্গঠন সম্পূর্ণ হয়েছে। কর বিভাগ অটোমেশনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ই-পেমেন্টের মাধ্যমে যে কোনো করদাতা ঘরে বসে কর জমা দিতে পারছেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিটি জেলা, সিটি কর্পোরেশনে ৩ জন সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী এবং ২ জন দীর্ঘ সময়ব্যাপী আয়কর প্রদানকারী হিসেবে সর্বমোট ৩৬০ জন করদাতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

এর আগে সকাল সোয়া ৮টায় দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি রাজস্ব ভবন থেকে শুরু হয়ে মৎস্যভবন, হাইকোর্ট, প্রেস ক্লাব এবং বিজয়নগর হয়ে পনুরায় রাজস্ব ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

অর্থ বাণিজ্য