কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্ক অবস্থানের কারণে আমদানি ব্যয় কমে আসার ধারা অব্যাহত রয়েছে।
চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানির জন্য এলসি (ঋণপত্র) খোলার পরিমাণ কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে এলসি খোলার পরিমাণ ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার আমদানি ব্যয়ের যে হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, জুলাই মাসে পণ্য আমদানির জন্য মোট ২৮৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়। গত বছরের জুলাই মাসে এই পরিমাণ ছিল ৩১৭ কোটি ১৩ লাখ ডলার।
এবার জুলাই মাসে চাল আমদানির এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ৮১ শতাংশ। চিনির এলসি কমেছে ৭১ শতাংশ।
তবে গম আমদানিতে এলসি বেড়েছে ৩৮৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ; পরিশোধিত ভোজ্য তেলের জন্য ৩৬ শতাংশ।
গত ২০১০-১১ অর্থবছরে আমদানি ব্যয় বেড়েছিল প্রায় ৪২ শতাংশ। বাংলাদেশ এরপর থেকে বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় আমদানি ব্যয় কমতে শুরু করে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান।
২০১১-১২ অর্থবছরে আমদানি ব্যয় বাড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ে। গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি ব্যয় বাড়লেও শেষ দিকে তা কমে আসে।
এদিকে আমদানি ব্যয় কমায় এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ভালো অবস্থায় রয়েছে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দুই মাসের (জুলাই-অগাস্ট) পাওনা বাবদ ৭০ কোটি ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পরও রিজার্ভে রয়েছে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে ১০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার ছিল বলে কর্মকর্তারা জানান।
চলতি মাসের শুরুতে আকুর দেনা পরিশোধের আগে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে রিজার্ভ প্রায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।
২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রায় ১২০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে, যা একক মাস হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে জানুয়ারি মাসে ১২২ কোটি ডলার রেমিটেন্স দেশে আসে।