উপর্যুপরি চতুর্থবারের মত হত্যা প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে গেলেন উপসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে সংঘাতপূর্ণ রাষ্ট্র ইয়েমেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গাড়িবহর লক্ষ্য করে চালানো বোমা হামলায় তিনি নিজে বাচঁতে সক্ষম হলেও নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১ জন। তাদের মধ্যে সাতজনই তার দেহরক্ষী বলে জানা গেছে।
রাজধানী সানার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সরকারি দপ্তরের নিকটবর্তী এলাকায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মেজর জেনারেল নাসির আহমেদের ওপর এ হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।
তার গাড়ি বহর রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আগে থেকেই পেতে রাখা একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরিত হলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
ইয়েমেনের আল কায়েদার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতার মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ার একদিন পরই এ হামলার ঘটনা ঘটলো।
হামলায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গাড়ি বহরে থাকা নিরাপত্তা কর্মী বহনকারী একটি গাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হলেও মন্ত্রীর গাড়িটি বুলেট প্রুফ হওয়ায় বেঁেচ যায়।
গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন সরকার গঠনের পর থেকে ইয়েমেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে লক্ষ্য করে এটি চতুর্থ হত্যা প্রচেষ্টা বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও ইয়েমেনে তৎপর আল কায়েদার শাখা ‘আল কায়েদা আরব পেনিনসুলা’ ইয়েমেনি নেতাদের লক্ষ্য করে এমন হামলা এর আগেও চালিয়েছিলো।
২০০৯ সালে আল কায়েদার সৌদি আরব এবং ইয়েমেনি শাখা একীভূত হয়ে বিশ্বের সবচেয়ে তৎপর এ জঙ্গি সংগঠনের উদ্ভব হয়।
সম্প্রতি তাদের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা সাইদ আল শিরি ইয়েমেনের আল কায়েদা অধ্যুষিত এলাকায় পরিচালিত সেনাবাহিনীর অভিযানে নিহত হন। তার একদিন পরই এ হামলা চালানো হলো বলে জানা গেছে।