ভালো আছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা

পথে পথে বিরতি। বিমান ভ্রমণ সেজন্য গায়েই লাগেনি। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপের ভেন্যু শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন সুস্থ শরীরে।

ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো থেকে লন্ডন হয়ে দুবাইয়ে এসে ১০ ঘণ্টার বিশ্রাম পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। সেখান থেকে বুধবার সকালে কলম্বো গিয়ে পৌঁছায়। শরীরের জড়তা কাটাতে সবাই মিলে হোটেলের সুইমিং পুলে সাঁতার কেটেছেন। কলম্বো থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম মোবাইলফোনে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিশ্রামে থাকবেন ক্রিকেটাররা। শুক্রবার এবং শনিবার অনুশীলন করে রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। সোমবার দ্বিতীয় এবং শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ম্যাচ দুটো হবে কলম্বোতে।

বিশ্বকাপের আগে অনেকগুলো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে জাতীয় ক্রিকেট দল। জুনে জিম্বাবুয়েতে তিন জাতি টি-টোয়েন্টি সিরিজে চারটি ম্যাচ খেলেছে। প্রথম দুটি হারলেও ফিরতি লেগে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে পরাজিত করে।

জুলাইয়ে আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস সফরে ছয়টি ২০ ওভারের ম্যাচ খেলে চারটিতে জিতেছে। আয়ারল্যান্ডকে তাদের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই দিয়েছে। যদিও নেদারল্যান্ডসের মাঠে স্কটল্যান্ড এবং স্বাগতিক নেদারল্যান্ডসের কাছে একটি করে ম্যাচ হেরেছে।

সর্বশেষ ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোতে খেলেছে চারজাতি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। ত্রিনিদাদের ৫০ বছর পূর্তী উপলক্ষ্যে বিসিবি একাদশের অন্তরালে জাতীয় দল খেলেছে প্রতিযোগিতায়। সেখানে বার্বাডোস এবং আফগানিস্তানকে হারিয়ে শেষ ম্যাচে হেরেছে স্বাগতিক ত্রিনিদাদের কাছে।

সংক্ষিপ্ত ভার্ষনের এই ক্রিকেটে ছোট দলের কাছে পরাজয়কে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখা হয়। বাংলাদেশ দলের বেলাতেও তাই প্রযোজ্য। তবে একটা জিনিস হয়েছে, টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে ঢুকে গেছে বাংলাদেশ দল। তারচেয়ে বড় বিষয় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ২০ ওভারের ম্যাচ খেলতে আগের চেয়ে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। বিশ্বকাপে তা কাজে লাগাতে পারলে ভালো ফল আসলেও আসতে পারে। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।

খেলাধূলা