আমদানি করা ৪৩ হাজার মে. টন ইউরিয়া সারের ভাগ্য নির্ধারণ করবে শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এজন্য ১৬ সেপ্টেম্বর সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিকে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পূরক প্রশ্নের মাধ্যমে আমদানি করা নষ্ট সারের বিষয়টি আলোচনার সূত্রপাত করেন সরকারদলীয় সদস্য আব্দুল মান্নান।
আব্দুল মান্নান বলেন, বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে ৪৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করা হয়েছে। সারগুলো পানিতে ভিজে পাথর ও মাটি হয়ে গেছে। সেই সার গ্রহণ করে দেশের ক্ষতি করতে একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। সারগুলো চীন থেকে ভিয়েতনামে যায়। ভিয়েতনাম মান ঠিক না থাকায় গ্রহণ না করলে ভারতীয় একটি কোম্পানি বাংলাদেশে আনে, যার মূল্য ২০০ কোটি টাকা।
সারগুলো না নেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
তিনি সার উৎপাদন অথবা আমদানি করার জন্য মন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এখন দেখে মনে হচ্ছে মন্ত্রণালয় হাত গুটিয়ে বসে আছে।
মন্ত্রী বলেন, হাত গুটিয়ে বসে নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদনের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় আশুগঞ্জ ও পলাশ সারকারখানা ৬ মাস বন্ধের পর চালু করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সিএফএল ও ঘোড়াশাল সার কারখানা।
এ সময় ৩ থেকে ৪ লাখ টন সার আমদানির পরিকল্পনার কথা জানান মন্ত্রী।
সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই সার নিয়ে নতুন করে আরেকটি হলমার্ক তৈরি করতে চাই না। তাই আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বৈঠকে বসবে। ডেপুটি সেক্রেটারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করায় মন্ত্রীর সমালোচনা করেন তোফায়েল আহমেদ।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই সারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটি সারগুলো সঠিক আছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে। তদন্ত কমিটি ২০ শতাংশ সার জমাট বলে রিপোর্ট দিয়েছে। জমাট সার ব্যবহারযোগ্য তাই খালাস করার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু সংসদীয় কমিটি স্থগিত করতে বলায় খালাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী তদন্ত কমিটিকে সংসদীয় কমিটির সভায় উপস্থিত করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।