ঈসিকার বাবা চৌধুরী মুহম্মদ ইমতিয়াজের ব্যক্তিগত কাজের লোক আলিম। অনেকদিন ধরেই বাড়ির বাবুর্চি ফাতেমার সঙ্গে তার গভীর প্রণয়। তারা দু’জন মিলে সম্ভব্য বিয়ের তারিখও ঠিক করে রেখেছে। এমন অবস্থায় পশ্চিম সংস্কৃতির অনুসারী ঈসিকা থার্টিফার্স্ট নাইটে বাড়ির কর্মচারীদের নিয়ে এক পার্টির আয়োজন করেন।
সেই রাতে নাচে, উল্লাসে উঁচু নিচুর সীমারেখা অনেকটাই ঝাপসা হয়ে আসে। সাময়িক নেশার প্রভাবে ‘ঈশিকা’ ও বাড়ীর চাকর ‘আলিম’ পরষ্পরের খুব কাছাকাছি চলে আসেন। এ রাতে ‘ঈশিকা’ ও ‘আলিমের’ মধ্যে এক নবমাত্রিক প্রণয় সেতুবন্ধন সৃজন করে। এ প্রণয়ের পরিণতি হিসেবে ভোর রাতের দিকে তারা উভয়েই বাড়ি ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু ভোরের আলো ফুটতেই শ্রেণী বাস্তবতা উভয়ের কাছেই প্রকট থেকে প্রকটতর হতে থাকে। আলিম ও ঈশিকা কেউই তাদের শ্রেণী খোলস ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারে না। পরবর্তী জীবনের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও সামাজিক সম্মানহানি ঈশিকার সামনে তীব্র হয়ে ওঠে। চৌধুরী ইমতিয়াজ বাড়িতে ফিরে আসার পর আলিমের ভিতরে দীর্ঘকাল ধরে বেড়ে ওঠা দাসসত্ত্বা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে।
সমাজের শ্রেণীদ্বন্দ্বের নানা ঘটনার এমনই এক কাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছে নাটক ‘তৈল ও জলীয় সমাচার’।
নাটকটিতে আলিম, ঈশিকা ও ফাতেমা চরিত্র তিনটিতে অভিনয় করেছেন যথাক্রমে কল্যাণ, ঈষানা ও সোহেলি সাথী। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মিজান তালুকদার, জ্যোতি, মিলন, মনু, জব্বারসহ আরো অনেকে।
অড লাইন প্রোডাকশনের নির্মিত নাটকটির রচনা ও পরিচালনায় ছিলেন মেহেদী হাসান সজীব।
উল্লেখ্য, মেহেদী হাসান সজীব পরিচালিত প্রথম টিভি নাটক ছিল নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের ‘বাসন’। নাটকটি বিটিভিতে প্রচারের পর প্রশংসিত হয়। এবার কোরবানি ঈদে ‘তৈল ও জলীয় সমাচার’ নাটকটি যে কোনো একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হবে।