চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতিকে সমর্থন দিয়ে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তরাও রোববার সকাল থেকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে অর্ধদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন।
বিভিন্ন দাবি আদায় ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের অসৌজন্যমূলক আচারণের প্রতিবাদে এই কর্মবিরতি পালিত হয়।
সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলাকালে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে অফিসিয়াল কার্যক্রম ও বন্দরে পণ্য লোড, আনলোড কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। ফলে এসময় বন্দরে আসা আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকের জট সৃষ্টি হয়েছে। তবে দুপুর ১২টায় কর্মবিরতি শেষে পুরোদমে বন্দর কার্যক্রম শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
কাস্টমস সহকারী কমিশনার সাধণ কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, এ ব্যাপারে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রাম কাস্টমসে বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা রয়েছে।
এসব অব্যবস্থাপনা নিরসনের দাবি নিয়ে একাধিকবার চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে কাস্টমস কর্মকর্তারা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা বন্ধ করে কাস্টমসে কাজের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন।
কিন্তু আজ পর্যন্ত সেসব দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। দ্রুত এসব দাবি আদায়ের লক্ষে চট্টগ্রাম বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা রোববার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মবিরতি পালন করেন। যেহেতু বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরাও চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস করেন তাই চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মবিরতিকে সর্মথন দিয়ে বেনাপোল বন্দরেও কর্মবিরতি পালিত হয়।
তিনি আরও জানান, বেনাপোল, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ভোমরাসহ দেশের অনান্য স্থল ও নৌবন্দরগুলোতেও এই কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের আরেক সিঅ্যান্ডএফ নেতা নাসির উদ্দীন জানান, বেনাপোল বন্দরেও একই সমস্যা বিদ্যমান। আগামীতে বেনাপোল বন্দরেও এ ধরনের কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।