ইরাকের ক্ষমতাসীন সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিক আল হাশেমির বিরুদ্ধে দেওয়া আদালতের রায় তিনি প্রত্যাখান করেছেন। পাশাপাশি তিনি এটিকে রাজনৈতিক উদ্যেশ্য প্রণোদিত বলেও উল্লেখ করেন।
সোমবার পাশ্ববর্তী দেশ তুরস্ক থেকে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ কথা জানান। পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকি সরকারের বিরুদ্ধে হামলা চালোনোর হুমকি দেন।
রোববার ইরাকের একটি আদালত এ রায় দেয়। শিয়া সম্প্রদায় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার জন্য একটি ডেথ স্কোয়াড পরিচালনার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাশেমির বিরুদ্ধে এ রায় দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ইরাকের শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারে হাশেমি জ্যেষ্ঠতম সুন্নি মুসলিম কর্মকর্তা ছিলেন। গত ডিসেম্বরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে। এর পর থেকে তিনি পলাতক। রোববার তার অনুপস্থিতিতেই আদালত রায় ঘোষণা করেন। তিনি এখন তুরস্কে অবস্থান করছেন।
হাশেমির বিরুদ্ধে আদালতের এ সর্বোচ্চ শাস্তি ঘোষণায় ইরাকে নতুন করে শিয়া-সুন্নি গোষ্ঠীগত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, একজন সুন্নি রাজনীতিক ক্ষমতাসীন শিয়া প্রধানমন্ত্রী নূরি আল মালিকিকে স্বৈরাচার বলে অভিহিত করেছেন। মালিকি দেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিক আল হাশেমির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মালিকি নিজে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রোববারের ঘটনা ইরাকের শিয়া, সুন্নি ও সেক্যুলারদের নিয়ে গঠিত ভঙ্গুর জোট সরকারকে পতনের বিপজ্জনক সীমায় এনে দাঁড় করিয়েছে।