আগামীতে কোনো দলই ১৫০ আসন পাবে না। বিরোধীদলের ১০০ আসন পাওয়া দূরহ হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
শনিবার দুপুরে বনানীস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন আয়োজিত ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এ মন্তব্য করেন।
এরশাদ আরো বলেন, “আমরা আর এখন তৃতীয় শক্তি নই। উই আর ফাস্ট পার্টি ফর গভমেন্ট ফর্ম। ক্ষমতায় থাকা যদি মানদণ্ড হয়, তাহলেও জাতীয় পার্টি প্রথম শক্তি। আমরা ক্ষমতায় ছিলাম ৯ বছর। কেউ আর জাতীয় পার্টিকে তৃতীয় শক্তি বলবেন না।”
তিনি বলেন, “আমাদের ২০০ আসনে যোগ্য প্রার্থী প্রস্তুত রয়েছে। অবশিষ্ট ১০০ আসনে যোগ্য প্রার্থীর সন্ধানে আছি। এছাড়া প্রথম কিস্তির ১০৫ জন সম্ভাবনাময় প্রার্থীকে ৯ সেপ্টেম্বর ডাকা হয়েছে।”
এরশাদ বলেন, “দুই দল ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে ব্যস্ত। একদল বলছে তত্ত্বাবধায়ক হতে হবে। অন্যদল বলছে তত্ত্বাবধায়ক সম্ভব নয়। তারা কেউই জনগণের সমস্যার কথা বলছে না। দল দুটির মধ্যে পরমতিসহিষ্ণুতা নেই। বিচার মানি তবে তালগাছ আমার, এই নীতিতে তারা বিশ্বাসী। দেশের মানুষ আজ ভয়াবহ সংকটের মধ্যে রয়েছ। হলমার্ক কেলেংকারি, পদ্মাসেতুতে দুর্নীতিসহ একের পর এক কেলেঙ্কারী ফাঁস হচ্ছে।”
আগামী নির্বাচন হবে কিনা সংশয় তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে এরশাদ বলেন, “সবখানে পরিবর্তনের আওয়াজ উঠেছে। জনগণ এই দুই দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। মানুষ অনেক দেখেছে। আর দেখতে চায় না। তারা পরিবর্তন চায়। আর তাই জাতীয় পার্টির এবার স্লোগান হচ্ছে— শান্তির জন্য পরিবর্তন, আর পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি।”
এ সময় এরশাদ স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমার বাবা ছিলেন আইনজীবী। আমাকেও আইনজীবী বানাতে চেয়েছিলেন। আমার কাগজ হারিয়ে যাওয়ায় আর ভর্তি হতে পারিনি।”
জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের সভাপতি পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, এবিএম তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সুনীল শুভ রায়, সংবর্ধিত ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার, পার্টির শিল্প বিয়ষক সম্পাদক কাজী মামুন, অ্যাড. রেজাউর রহমান খান, তাজ মোহাম্মদ শেখ, শেখ ফরিদ, মনিরুজ্জামান প্রমুখ।