সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে কাজে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, “এ কারণে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।”
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সমন্বিত বাণিজ্যনীতি বিষয়ক একটি পরামর্শ কর্মশালায় অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।
“দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সম্বলিত মধ্যমেয়াদি বাণিজ্যনীতি গ্রহণে সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ“— এই অভিমত দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “কারণ, এখানে বিভিন্ন পক্ষ সম্পৃক্ত থাকে।”
তিনি বলেন, “বিনিয়োগ ও বাণিজ্য হাতে হাত ধরে চলে। এজন্য সমন্বিত বাণিজ্যনীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) বাড়াতে আরও মনোযোগী হতে হবে।”
একই সঙ্গে পরিবেশ রক্ষা এবং শ্রমমান বজায় রেখে কৃষি ও শিল্প-কারখানার মতো উৎপাদনশীল খাতেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, “সমন্বিত বাণিজ্যনীতি প্রণয়নের সময় অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি, মানসম্পন্ন পণ্য এবং জনশক্তি রপ্তানির মতো সেবা খাতও বিবেচনায় রাখতে হবে।”
অর্থমন্ত্রী আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জিডিপিতে বাণিজ্যখাতের অবদান ৭০ শতাংশ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে কোনো খাতকে তিন বছরের পরিবর্তে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘থ্রাস্ট সেক্টর’ হিসেবে বিবেচনার বিরোধিতা করেন তিনি।
উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশের বাণিজ্যে অর্থায়নে একটি ভাল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা উচিৎ বলে মত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সমন্বিত বাণিজ্য নীতি বিষয়ক এ কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের, এফবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদ, বাংলাদেশের ইউরোপীয় ইউনিয়নের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অ্যানড্রু বার্নার্ড।
কর্মশালার আয়োজন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম হোসাইন।