রাজশাহীর মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। শনিবার সকাল ৭টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৫নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন— মোহনপুরের মতিহার গ্রামের মোজাম্মেল হক (৪৫), পালশা গ্রামের ব্র্যাক কর্মকর্তা অজিত কুমার সরকার (৩৮) ও সইপাড়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিন (৩০), রাজশাহী কলেজের একাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্র একই গ্রামের শামীম হোসেন (১৮), বাকশিমইল গ্রামের আফজাল হোসেন (২৭), নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ছোটমুল্লুক গ্রামের শহীদুল ইসলাম (৪০), রাজশাহী রয়েল মেডিকেল টেকনোলজির ছাত্র মান্দার মোহাম্মদপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন (২৬), একই উপজেলার কালিসোবা গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৮) ও মহানগরীর দরগাপাড়া এলাকার রবিন (২৬)।
অপরজনের আত্মীয়-স্বজন না আসায় দুপুর পর্যন্ত তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে রবিন হিউম্যান হলার চালক এবং বাকিরা সবাই এর যাত্রী ছিলেন। তারা মোহনপুর থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন।
রাজশাহীর মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকিরুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল ৭টার দিকে রাজশাহী থেকে নওগাঁগামী বুলবুলি এন্টারপ্রাইজ (খুলনা মেট্রো-ব-৩৮২) নামের একটি বাস এবং মোহনপুর থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী হিউম্যান হলার (ইমা; নং সিলেট মেট্রো-ছ-১১-০৩৩৫) উপজেলার বিদিরপুর ও খয়রার মাঝামাঝি পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যান। পরে রামেক হাসপাতালে ভর্তির পর মারা যায় আরও ৭ জন।
ওসি জানান, খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় ঘাতক বাস আটক এবং হিউম্যান হলারটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সড়ক দুর্ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে সাত জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে অন্যদের লাশ।