আগামী ১৬ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ সাতটি বিভাগীয় শহরে তৃতীয়বারের মতো আয়কর মেলার আয়োজন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আর ১৬ থেকে ২০ তারিখ ১১টি জেলা শহরে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ৫ম বারের মতো জাতীয় আয়কর দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য, আয়কর সুন্দর জীবনের প্রতিশ্রুতি।
শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ এতে বক্তব্য দেন।
এ সময় মেলার আহ্বায়ক ও এনবিআর সদস্য মো. আব্দুল কাদের সরকার (এম এ কাদের সরকার) বিস্তারিত তুলে ধরেন। উপস্থিত ছিলেন মো. শাহজাহান, কর কমিশনার চৌধুরী আমিরসহ এনবিআরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
এ সময় নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “দেশে ১৫ কোটি মানুষের মধ্যে ৩৬ লাখ মানুষের কর সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) রয়েছে। আর আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন ১৪ লাখ মানুষ। এটা দুঃখজনক। করনীতি এবং রাজস্ব আইনের সংস্কার দরকার। আমরা সে বিষয়ে কাজ করছি। ১৯৮৪ সালের কর অধ্যাদেশ দিয়ে চলছি। ইতোমধ্যে তা সংশোধন করে কর অধ্যাদেশ-২০১২ খসড়া করা হয়েছে। শিগগিরই তা মতামতের জন্য দেওয়া হবে।
মেলার বিস্তারিত তুলে ধরে কাদের সরকার বলেন, ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে মেলা হবে ২২ তারিখ পর্যন্ত। তবে এবার আমরা মেলাকে সম্প্রসারণ করে পুরনো জেলা শহর ময়মনসিংহ, গাজীপুর, ফরিদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, যশোর, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, দিনাজপুর, পাবনা এবং বগুড়াতে মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছি। ১৬ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর এসব জায়গায় মেলা হবে।
তিনি বলেন, ববারবরের মতো সব সুবিধা থাকবে মেলাতে। তবে এবারের মেলা অতিরিক্ত সুবিধা, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল। ১৮টি জায়গাতে এটি থাকবে। এছাড়া ইপেমেন্ট সুবিধা থাকবে। যেখান থেকে করদাতারা অনলাইনে আয়কর পরিশোধ করতে পারবেন। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ঢাকায় মেলা অনুষ্ঠিত হবে অফিসার্স ক্লাবে।
এনিবারের এই সদস্য বলেন, এবারে আয়কর দিবসে দীর্ঘসময় এবং সর্বোচ্চ আয়করদাতা মোট ৩৬০ জনকে সম্মাননা দেওয়া হবে। আর দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঐদিন সকাল ৮টায় এনবিআর সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হবে।
এমএ কাদের জানান, গত মেলায় প্রায় ৭০ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। এবার তা এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।
তবে তিনি বলেন, কর অঞ্চল পরিবর্তন হয়েছে। তাই একটু সমস্যা হতে পারে। ৩০৬টি এলাকা (অধিক্ষেত্র) ভেঙে ৬৪৬টি করা হয়েছে। তাই কে কোন অঞ্চলে তা নিয়ে ঝামেলা হতে পারে। তবে আগামী বছর থেকে এটি আর থাকবে না। এছাড়া যারা পুরনো করদাতা তাদের চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আয়কর মেলার ভেন্যু: ঢাকা-অফিসার্স ক্লাব, বেইলি রোড; সিলেট-মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়াম সিলেট স্টেডিয়াম; চট্টগ্রাম-এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম হল, চট্টগ্রাম; রাজশাহী-জাফর ইমাম টেনিস কমপ্লেক্স; পাবনা-বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল পৌর মিলনায়তন; বগুড়া-বিয়াম মিলনায়তন, উপশহর; রংপুর-জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার, স্টেশন রোড; দিনাজপুর-লোকভবন, জেলা রোড; বরিশাল-অমৃত লাল দে মিলনায়তন, ক্লাব রোড; পটুয়াখালি-কর ভবন, পটুয়াখালি ফায়ার সার্ভিস রোড; খুলনা-কর ভবন চত্ত্বর, বয়রা; যশোর-জেলা পরিষদ মিলনায়তন; কুষ্টিয়া-পাবলিক লাইব্রেরি চত্ত্বর; গাজীপুর-বঙ্গতাজ পৌর মিলনায়তন; ফরিদপুর-অম্বিকা মেমোরিয়াল হল, ঝিলটুলী; ময়মনসিংহ-পৌর সুপার মার্কেট চত্ত্বর; নোয়খালী-বিআরডিবি মিলনায়তন, মাইজী কোর্ট; এবং কুমিল্লার বীর চন্দ্র নগর মিলনায়তনে।