যা ফিরে পাওয়ার কথা তা পাইনি: ড. কামাল

যা ফিরে পাওয়ার কথা তা পাইনি: ড. কামাল

আগেকার সরকারকে (বিএনপি-জামায়াত জোট) ধিক্কার দিয়ে বিদায় করার পর যেটা ফিরে পাওয়ার কথা তা পাননি বলে আক্ষেপ করেছেন সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

শনিবার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘সংবিধান, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আক্ষেপ করেন।

“আগেকার সরকারকে ধিক্কার দিয়ে বিদায় করার পর যেটা ফিরে পাওয়ার কথা তা পাইনি” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বিচার বিভাগ যেভাবে চলার কথা, বিচারক নিয়োগ হওয়ার কথা, সংসদে আইন পাশ হওয়ার কথা- এই সরকারের সময়েও তা পাইনি।”

ড. কামাল বলেন, “রাষ্ট্রের মালিক জনগণ হলেও একশ ভাগ লোকের মধ্যে মাত্র এক ভাগ লোক দুর্নীতির মাধ্যমে ভোগ করছে। এই একভাগ দুর্নীতিবাজ আইনের আশ্রয় পাচ্ছেন। তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।”

তাদের (এক ভাগ লোকের) লোক মনে না করে সংসদ সদস্যদের জনগণের পক্ষে কথা বলার আহ্বান জানান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর এমএজি ওসমানীর ৯৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্যাট্রিয়টিক ইয়ুথ ফোরাম।

সেমিনারে ড. কামাল আরও বলেন, “বড় বড় ডক্টরেট ও ডাক্তার ডিগ্রি লাগিয়ে উপদেষ্টারা উপদেশ দিয়ে দেশটাকে ধ্বংস করছে। শেয়ার বাজারে যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “রুগ্ন রাজনীতি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে। যারা দলীয় রাজনীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশটাকে পচিয়েছে তারা দুই নম্বর শক্তি। জনগণ একত্রিত হলে এই প্রতারক-লুটেরাদের হাত থেকে দেশ মুক্তি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সেমিনারের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক ছাত্রনেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “সাগরে হিমবাহের শুধু শীর্ষাংশ দেখা যায়। হিমবাহের বেশিরভাগ অংশ ডুবে থাকে পানির নিচে। হলমার্ক কেলেঙ্কারি হিমবাহের শীর্ষের মতো এবং এসব দুর্নীতির পেছনে কেবল একজন উপদেষ্টা জড়িত নয়, আরও উপরের লোক জড়িত আছে।”

মান্না বলেন, “দুই মহিলা (খালেদা-হাসিনা) আমাদের জিম্মি করে রেখেছেন।
তারা জীবনে একবার একত্রিত হয়েছিলেন। দুই নেত্রী কারও চোখে চোখ রাখতে চান না। যারা এতো সুন্দর সোনার বাংলাদেশ ধ্বংস করছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা আমরা জানি না। জীবনের কোনো মূল্য নেই, রাস্তায় বের হলে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ছলছাতুরি, মিথ্যাচার, লীলা খেলা আর চলতে দেওয়া হবে না।”

দৈনিক স্বাধীন মত পত্রিকার সম্পাদক খন্দকার আলী আজমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন এভারেস্ট বিজয়ী এমএ মুহিত, চিত্রনায়িকা শাহনুর, প্যাট্রিয়টিক ইয়ুথ ফোরামের ষভাপতি আতাউল্লা খান প্রমুখ।

পরে প্যাট্রিয়টিক ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার করা হয় ও বিশিষ্টজনদের সম্মাননা দেওয়া হয়।

রাজনীতি