আমিতো অ্যারাবিয়ান হর্স: যোগাযোগমন্ত্রী

আমিতো অ্যারাবিয়ান হর্স: যোগাযোগমন্ত্রী

‘আমিতো অ্যারাবিয়ান হর্স। যতক্ষণ পারবো দৌড়াবো।’ নিজের সম্পর্কে এভাবেই বলছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার মিরপুর এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভার পরিদর্শনের সময় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ানের কর্মকর্তাদের সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে আমি দেখেছি রডের দাম বেড়েছে। বাড়ছে ফ্লাইওভারের নির্মাণ খরচও। আমার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর রয়েছে। তিনি বাজেটের বাইরেও আমাকে বাজেট দেবেন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ একটু বাড়ছে। তবুও জনগণের দুর্ভোগ কমাতে হবে।’

মূলত, জিনিপত্রের দাম বৃদ্ধি এবং ওভারপাস ও লিংকরোডের কাজ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করায় ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২০ কোটি টাকা। কিন্তু ওই ফ্লাইওভারের জন্য বাজেট ছিল ১৯২ কোটি টাকা।

মিরপুরে টানেল নির্মাণের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী যে প্রস্তাব করেছে সে বিষয়ে তিনি আলোচনা করবেন বলেও সেনাসদস্যদের জানান।

এদিকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) আবু নাসেরের দেওয়া তথ্যমতে, মিরপুর ক্যন্টানম্যান্ট এলাকার মাটিকাটা থেকে এয়ারপোর্ট রোডের হোটেল র‌্যাডিসন পর্যন্ত এ ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ১হাজার ৭৯০ মিটার। এ ফ্লাইওভারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও দেড় কিলোমিটার কানেকটিং ব্রিজ, ওভারপাস ও ডাইভারসন। এরই মধ্যে ডাইভারসনের কাজ ১০০ ভাগ সমাপ্ত হয়েছে। ২০১৩ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত হবে।

তিনি আরও জানান, বনানী রেল ক্রসিং-এ দিনে ৭২ বার ট্রেন ক্রসিং হয়। এর ফলে মিরপুর থেকে বা মহাখালী থেকে এয়ারপোর্ট যেতে ট্রেনের ক্রসিং-এর জন্য সময় নষ্ট করতে হয়। এ ফ্লাইওভার নির্মাণ শেষ হলে মিরপুর থেকে ১০ মিনিটে এয়ারপোর্ট পৌঁছা যাবে।

সরেজমিনে গিয়ে আরও জানা গেছে, মিরপুর এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভারের কাজ করছেন মীর আখতার হোসেন লিমিটেড নামের এক কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। ওভার পাস এবং ফ্লাইওভারের অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করছে আব্দুল মোনেম নামের অপর একটি নির্মাণ কোম্পানি।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর