সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থার কাছে গত অর্থবছরে (২০১১-১২) ভূমি রাজস্ব বাবদ সরকারে পাওনা রয়েছে ৯৮৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এসব সংস্থা তাদের ভূমি রাজস্ব খাতে বাজেট অপ্রতুলতার কারণে ভূমি রাজস্ব পরিশোধ করতে পারছে না। তবে জনগণের কাছে এ কাতে সরকারের কোনো পাওনা নেই।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা এ তথ্য জানান।
মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “ভূমি রাজস্ব আদায় ও হিসাব রাখার সুবিধার্থে ‘সাধারণ’ ও এবং বিভিন্ন সরকারি/ আধা-সরকারি/ স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা থেকে আদায়কৃত ভূমি রাজস্বকে ‘সংস্থা’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ২০১১-১২ অর্থবছরে জনগণের কাছে ভূমি রাজস্ব বাবদ সরকারের কোন অনাদায়ী পাওনা নেই।
তিনি আরো বলেন, এসব সংস্থার নিকট থেকে ভূমি রাজস্ব বাবদ অনাদায়ী পাওনার হিসাব সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে সংরক্ষিত আছে।
মন্ত্রী বলেন, বকেয়া ভূমি রাজস্ব আদায়ের জন্য ঢোল-সহরত ও এলাকার হাট-বাজার এবং জনবহুল স্থানে প্রচার করা হয়, স্থানীয়ভাবে আদায় ক্যাম্প স্থাপন করা হয়, প্রয়োজনে সার্টিফিকেট মামলাও দায়ের করা হয়। বিভিন্ন সংস্থার নিকট থেকে বকেয়া ভূমি রাজস্ব আদায়ের জন্য মাঠ প্রশাসন থেকে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে তাগিদ দয়া হয়। এছাড়া ভূমি মন্ত্রাণালয় থেকেও সংস্থার বিভিন্ন কার্যালয়ে তাদের বকেয়া ভূমি রাজস্ব পরিশোধের জন্য আধা-সরকারি পত্রের মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়ে থাকে।
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভূমি জরিপের প্রাচীন ও জটিল পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল জরিপ প্রর্বতণের জন্য সরকার নানান পদক্ষেপ নিয়েছে। ভূমি রেকর্ড ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমের অধীনে ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে ঢাকা মহানগর জরিপে ১৯১টি মৌজার ৪ লাখ ৪১ হাজার ৫০৬টি খতিয়ান ও ৪ হাজার ৮০৯টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ করে তা ভূমি রেকর্ড জরিপ অধিদফতরের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।