টার্গেট সংসদ নির্বাচন: গণসংযোগে যাচ্ছেন ১৮ দল নেতারা

টার্গেট সংসদ নির্বাচন: গণসংযোগে যাচ্ছেন ১৮ দল নেতারা

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে জনসমর্থন বাড়াতে ও আগামী জাতীয় সংসদ নিবার্চনে ভোটারদের ১৮ দলের পক্ষে আনতে শুক্রবার থেকে ৬৪ জেলায় গণসংযোগে বের হচ্ছেন বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতারা।

৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জোটের নেতারা ২৭টি দলে বিভক্ত হয়ে জেলায় জেলায় সমাবেশ, গণমিছিল ও গণসংযোগ করবেন।

বৃহস্পতিবার বিএনপি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিই নয়, আগামী নির্বাচনে ১৮ দলের পক্ষে জনমত বাড়াতেও  দেশব্যাপী এসব কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।

এছাড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া দেশের বিভিন্ন জেলায় জনসভা করবেন।

ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার ৪টি জনসভার তারিখ ও স্থান চূড়ান্ত হয়েছে। তিনি ২০ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর, ২৯ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ী, ৬ অক্টোবর হবিগঞ্জ ও ৯ অক্টোবর বরিশালে যাবেন। এসব জেলায় জনসভা ছাড়াও বেশ কিছু পথসভায় বক্তব্য রাখবেন খালেদা জিয়া। এরপর তিনি ঢাকার আশপাশের জেলায় সফর করবেন।

এছাড়া ঈদুল আযহার আগে বিভিন্ন জেলার নেতাদের ঢাকায় ডেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মতবিনিময় করার কর্মসূচি রয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরে নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট নেতারা গত ২৮ আগস্ট এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ জানান, ১৮ দলীয় জোটের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার প্রতিটি জেলায় নেতাদের গণসংযোগ সফর শুরু হবে।

এ লক্ষ্যে ২৭টি টিমও গঠন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাছে তালিকা সম্বলিত চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে।

কেন্দ্রীয় নেতাদের এই গণসংযোগে প্রতিটি টিমের নেতৃত্বে দেবেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। এছাড়া টিমে থাকবেন জামায়াতসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতারা।

তালিকা অনুযায়ী, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন নেতৃত্ব দেবেন চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলায়।

এম কে আনোয়ার বরিশাল মহানগর, সিলেট জেলা, সিলেট মহানগর ও হবিগঞ্জে নেতৃত্ব দেবেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ নেতৃত্ব দেবেন কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে।

ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া গাজীপুর ও নরসিংদীতে নেতৃত্ব দেবেন।

মির্জা আব্বাস কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও টাঙ্গাইলে নেতৃত্ব দেবেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নেতৃত্ব দেবেন ঝিনাইদহ, মাগুরা ও নড়াইলে।

নজরুল ইসলাম খান নওগাঁ, রাজশাহী মহানগর, চাপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে এবং জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে নেতৃত্ব দেবেন।

সহ-সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম খুলনা মহানগর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও যশোরে, আবদুল্লাহ আল নোমান বরিশাল মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণে, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জে এবং সেলিমা রহমান পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলায় নেতৃত্ব দেবেন।

ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জে, এম মোরশেদ খান লক্ষীপুর, নোয়াখালী ও ফেনীতে এবং ওসমান ফারুক জামালপুর ও শেরপুরে নেতৃত্ব দেবেন।

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ঝালকাঠি ও বরগুনায়, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন মাদারীপুর ও শরীয়তপুর, রাবেয়া চৌধুরী কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিণে এবং ফজলুর রহমান পটল গাইবান্ধায় নেতৃত্ব দেবেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বরগুনা, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জে, এ জেড এম জাহিদ হোসেন কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে, এবং শামসুজ্জামান দুদু কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে নেতৃত্ব দেবেন।

যুগ্ম-মহাসচিবদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান কুমিল্লা ও চাঁদপুরে, মোহাম্মদ শাহজাহান ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে, বরকত উল্লাহ বুলু ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণে, সালাহউদ্দিন আহমেদ নীলফামারী ও সৈয়দপুরে এবং রুহুল কবির রিজভী নারায়নগঞ্জ জেলা টিমের নেতৃত্ব দেবেন।

রাজনীতি