ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন নীতিমালা সংশোধন করে তা আরো কঠোর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
চলতি বছরের মধ্যে নীতিমালাটি চূড়ান্ত হয়ে যাবে জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, “নীতিমালাটি চূড়ান্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এটি চূড়ান্ত করা হবে।”
অধিবেশনে অনুপস্থিত জামায়াতের এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “ভবিষ্যতে স্বল্প পরিসরের উড়োজাহাজ পাওয়ার সাপেক্ষে বন্ধ থাকা ঢাকা-কক্সবাজার রুটসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।”
পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, “২০১১-১২ অর্থবছরে এক লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ জন পর্যটককে হোটেল-মোটেল ভাড়া দিয়ে সরকার এক হাজার ১৪৮ কোটি আট লাখ টাকা আয় করেছে।”
তিনি আরো জানান, দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য পর্যটন করপোরেশন নিজস্ব ২৪টি হোটেল ছাড়াও আরো ১৩টি হোটেল-মোটেল লিজ নিয়ে সেবা দিচ্ছে। সেগুলোর সেবার মান আরো বাড়াতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, শ্রীমঙ্গল, জাফলং ও চট্টগ্রামে পর্যটকদের জন্য সুবিধা বাড়ানোর নানা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। বাংলাদেশের দূতাবাস নেই এমন ৩৯টি দেশ ও পূর্ব ইউরোপের দেশের নাগরিকদের ‘ভিসা অন অ্যারায়ভাল’ প্রধান করা হয়েছে।
ফারুক খান জানান, “সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় কক্সবাজারে হোটেল উপল, প্রবাল ও শৈবাল সম্প্রসারণ ও টেকনাফের সাবারাং-এ এক্সিকিউটিভ ট্যুরিস্ট জোন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”
কক্সবাজার ও কুয়াকাটার জন্য পৃথক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়ে মন্ত্রী জানান, এ দুটি পর্যটন এলাকার ওপর একটি মাস্টার প্ল্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
নূরুল ইসলাম সুজনের এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান জানান, নেপাল ও ভুটান সরকারের কাছ থেকে সৈয়দপুর বিমান বন্দরটি ব্যবহারে এর আগে প্রস্তাব পাওয়া গেছে। পিপিপির আওতায় এই বন্দরটিকে একটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উন্নীত করতে একটি প্রস্তাবনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।