শুধু সার্ভিলেন্স সফটওয়্যার কিনলেই হবে না তা ব্যবহার করে বাজারে তদারকি করতে হবে। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে বাজারে কারসাজি যাতে না হয় সেদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বুধবার এ বিষয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি আল মারুফ খান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আল মারুফ খান বলেন, ‘‘বাজার তদারকি করতে সার্ভিলেন্স ব্যবস্থা খুবই সংবেদনশীল। তাই এটি পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তোলা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আগে থেকেই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এটি চালু করা সম্ভব হয়।’’
তিনি বলেন, ‘‘যে কক্ষে এই ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে, সেই কক্ষ অবশ্যই সুরক্ষিত হতে হবে। ওই কক্ষে অবশ্যই সিসিটিভি ক্যামেরা ও অ্যাকসেস কন্ট্রোল ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। সেখানে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা মোবাইল অথবা টেলিফোন ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে বাজারকে কোনোভাবে প্রভাবিত করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অন্য দায়িত্ব থেকে দূরে রাখতে হবে।’’
এসব ব্যবস্থা করতে পারলে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করেন সিএসইর সভাপতি।
এদিকে এসইসির নতুন সার্ভিলেন্স সফটওয়্যার চালুর ক্ষেত্রে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সমস্যাগুলো দূর করার জন্য এসইসির চেয়ারম্যান আজকের বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান আল মারুফ খান।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ফ্রি-ফ্লটের (লেনদেনযোগ্য শেয়ার) ভিত্তিতে সূচক চালু করার বিষয়ে এসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আজ আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।