সাংবাদিকদের ঠেলা-ধাক্কা দিয়ে দুদক থেকে দৌড়ে বেরিয়ে গেলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন কবির।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক থেকে বাইরে বের হতেই সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরেন। কিন্তু তিনি কোনো কথা না বলে সাংবাদিকদের ধাক্কা দিয়ে দ্রুতবেগে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই দৌড়ে গিয়ে গাড়িতে ওঠেন। এ সময় শুধু বলে যান, “আমার এক সূতা পরিমাণও দোষ নেই। আমি দোষী নই।“
মঙ্গলবার প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে হুমায়ুন কবির দুদকে আসেন। তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে। বিকেল ৪টা ১০ মিনিট পর্যন্ত এ জিজ্ঞাসাবাদ চলে।
দুদুকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদিন শিবলীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, হলমার্কের কাছ থেকে কি সুবিধা পেয়ে তাদের অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করেছেন, সে বিষয়ে হুমায়ুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাছাড়া সরকার বা উচ্চ পর্যায়ের কারো চাপে এ কাজ করেছেন কিনা তাও জানার চেষ্টা করেছে দুদক।
সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে হলমার্ক গ্রুপের মালিক তানভীর মাহমুদ দুই হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে তুলে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী জেসমিন ইসলাম এবং হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদকে গত রোববার জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন তানভীর।
গত ১২ আগস্ট সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখার আট কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
হলমার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে এ পর্যন্ত হলমার্ক ও সোনালী ব্যাংকের ৩১ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদুক।
অন্যদিকে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।