জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এমপি বলেছেন, সংসদ ও মন্ত্রিসভা বহাল রেখে নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচনের আগে সংসদ ও মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দিতে হবে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির মতবিনিময় সভা ও যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পঞ্চদশ সংশোধনীতে বলা হয়েছে সংসদ বহাল থাকবে। এতে অসংগতি রয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে এরশাদ প্রশ্ন তুলে বলেন, আসন শুণ্য হলে তখন নির্বাচন কমিশন সেই আসনে নির্বাচন দেন। আসন শূণ্য না হলে কিভাবে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন দেবে।
এরশাদ বলেন, আইন করার কোনো প্রয়োজন নেই। রাষ্ট্রপতি বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষে সংসদ ভেঙ্গে দিলেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
জাতীয় পার্টি বিরোধীদলে যাওয়ার জন্য নির্বাচন করবে না। নির্বাচন করবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। আর ক্ষমতায় যাওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের জনগণকে উদ্ধার করা।
তিনি বলেন, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উদ্ধার করতে চায়।
এখন নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টি ১২৫ আসনে বিজয়ী হবে বলে মন্তব্য করে সাবেক এই সেনাপ্রধান বলেন, অনেকে প্রশ্ন তোলেন ৩শ আসনে জাতীয় পার্টির যোগ্য প্রার্থী নেই। তাদের উদ্দেশে বলি আগামী নির্বাচনে মানুষ প্রার্থী খুঁজবে না। মানুষ খুঁজবে লাঙ্গল প্রতীক।
এরশাদ বলেন, আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। সে কারণে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ১০৫ জনকে ডাকা হচ্ছে। তাদের বলে দেওয়া হবে। তৃণমূল পর্যায়ে যদি সংগঠন শক্তিশালী করতে পারে তাহলে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
এ জন্য তাদেরকে ৩ মাসের সময় দেওয়া হবে। এর মধ্যে তাদের পার্টিকে শক্তিশালী করে পাবলিক মিটিং করে প্রমাণ দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন এরশাদ।
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদ, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হোসেন রাজু।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা), প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, এইচ এম এরশাদের উপদেষ্টা রিন্টু আনোয়ার, যোগদানকারী ব্রাহ্মপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও বুড়িচং এইচ এম এরশাদ ডিগ্রি কলেছের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষক কর্মচারীরা এরশাদের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন।