একদিকে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা অন্য দিকে চীনের উত্থান এই দুই দিক বিচেনায় সংশোধিত সামরিক কৌশলপত্র প্রকাশ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বৃহস্পতিবার এই সামরিক কৌশল প্রকাশ করবেন।
নৌ ও বিমান বাহিনীর শক্তি নিয়ে উদীয়মান চীন এবং ইরানের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সামরিক নীতিতে অন্তর্ভূক্ত থাকছে।
সংশোধিত প্রতিরক্ষা কৌশল মার্কিন সামরিক বাহিনীকে আরও বেশি মিতব্যয়ী একটি যুগে নিয়ে যাচ্ছে। কারণ আগামী দশ বছরের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিল থেকে ৪৫ হাজার কোটি ডলার কর্তনের পরিকল্পনা করেছে ওবামা প্রশাসন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই বছরে গরম রাজনীতির মাঠ আর এ বিষয়টি মাথায় রেখেই কর্মকর্তারা প্রতিরক্ষা ব্যয়ের বিষয়ে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টকে বেশ সাবধানী হিসেবে প্রমাণ করতে চাইছে। সেই সঙ্গে পেন্টাগনকে আশ্বস্ত করারও চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষা দপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, নতুন সংশোধিত কৌশলে আকারে ছোট কিন্তু ক্ষিপ্র গতিশীল সেনাবাহিনীর পক্ষে যুক্তি দেখানো হয়েছে। এই কৌশলের আওতায় রয়েছে, এশিয়াতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা বিস্তৃত করা এবং মধ্যপ্রাচ্যে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী মোতায়েন রাখা।
তিনি আরও বলেন, উপসাগরে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে ইরানের বাধা এবং দক্ষিণ চীন সাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় চীনের আধিপত্য বিস্তার প্রতিহত করার জন্য মার্কিন বাহিনীকে প্রস্তুত করাও এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে।
তবে ইরাক-আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মতো অস্থিতিশীল দেশে জঙ্গি দমন অভিযান সে তুলনায় এবারের কৌশলে কম গুরুত্ব পাচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনী এবং মেরিন বাহিনীর আকার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রশাসন এই কৌশল নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পারস্য উপসাগের ক্রমবর্ধমান ইরানি হুমকি, অন্য দিকে চীনের নৌ বাহিনী এবং জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন অবস্থান নাড়িয়ে দিতে পারে এই আশঙ্কায় এশিয়া-প্রশান্তমহাসগারীয় অঞ্চলের দিকে নজর দিতে বাধ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।