বুয়েটের ঘটনায় মামলা, ক্যাম্পাসে দাঙ্গা পুলিশ

বুয়েটের ঘটনায় মামলা, ক্যাম্পাসে দাঙ্গা পুলিশ

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভাঙচুরের অভিযোগ রোববার রাতে শাহবাগ থানায় দুটি মামলা হয়েছে।

মামলার পর হঠা‍ৎ করেই রাত ১১টার দিকে দাঙ্গা পুলিশের একটি দল ক্যাম্পসে গিয়ে আন্দোলনকারীদের কিছু সময় ঘিরে রাখে।

শাহবাগ থানা সূত্র জানায়, আদালত অবমাননা করে বুয়েটের উপাচার্য কার্যালয় দখল, ভাঙচুর এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুটের অভিযোগে একটি মামলা (নং-০৪) দায়ের করা হয়। ড. ইশতিয়াক, শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ড. আতাউর রহমান, ড. এহসানকে প্রধান করে মোট ১৫০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।

উপ-উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও সাবল দিয়ে তালা ভাঙার জন্য ড. মাহবুব রাজ্জাক, ড. মাকসুদ হেলালীকে প্রধান করে মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অপর মামলাটি (নং-০৫) করা হয়।

শাহবাগ থানার সেকেন্ড অফিসার আশিক জানান, দুটো মামলার বাদী হয়েছেন বুয়েটের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস খান।

এদিকে মামলার পরে ক্যাম্পাসে পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) নুরুল ইসলাম মামলা ভাঙচুর ও ফাইল তছনছের অভিযোগে মামলা দায়েরর সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, এখানে এসেছিলাম আদালতের নির্দেশনা অমান্য করা হচ্ছে কিনা- তা দেখার জন্য। আন্দোলনে মাইক-প্যান্ডেল ব্যবহার করা যাবে না বলে হাই কোর্ট নির্দেশনা দিয়েছে। পুলিশ তাদের মাইক-প্যান্ডেল ব্যবহার করতে নিষেধ করে। পরে পুলিশ পৌনে ১২টার দিকে চলে যায়।

তবে আন্দোলনকারীরা জানায়, আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে মাইক-প্যান্ডেলের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা আদালতের আদেশ ভঙ্গ করছি না। বরং আন্দোলন করছি বুয়েটকে রক্ষার জন্য।

ছাত্ররা দাবি করে, রোববার ছাত্রলীগ কর্মীরা ভিসির কার্যালয়ের ভবনের প্রবেশ মুখের দরজায় লাথি মারে। এর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সম্পর্ক নেই। পুলিশ লাথি মারার স্থানটি পরিদর্শন করে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ছাত্ররা বলছেন, তারা বুয়েটকে রক্ষার জন্য আন্দোলন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।

অন্যদিকে পুলিশ চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।

উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে গত কয়েক মাস ধরেই বুয়েটে আন্দোলন চলছে।

বাংলাদেশ