অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, পেশাগত উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে পুরোপুরি প্রযুক্তি নির্ভর সেবা দেওয়া হচ্ছে। আমরাও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি।
রোববার সকালে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে অ্যাসোসিয়েশন অব স্ট্রাটেজিস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ প্রফেশনালস ইন এশিয়া প্যাসিফিকের (আশা) ২১তম কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কম সময়ে বেশি মানুষকে নির্ভুলভাবে যে কোনো ধরনের সেবা দিতে প্রযুক্তির ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। অফিসে কাগজের অধিক ব্যবহার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই পরিবেশ রক্ষায় ও কাজের উন্নয়নে বাংলাদেশও ক্রমান্বয়ে ডিজিটালাইজ পদ্ধতির দিকে যাচ্ছে। আমরা কাগজের ব্যবহার কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছি।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে বাংলাদেশ সরকার পেশাগত উন্নয়নে পেশাজীবীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। আশা বিভিন্ন দেশে পেশাগত উন্নয়নে যে কাজ করছে তার সাধুবাদ জানাতেই হয়। বাংলাদেশে এই কংগ্রেস আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।
অ্যাসোসিয়েশন অব স্ট্রাটেজিস এন্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ প্রফেশনালস ইন এশিয়া প্যাসিফিকের(আশা) ২১তম কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আশার প্রেসিডেন্ট ওবায়দা কবির।
সভাপতিত্ব করেন ২১তম আশা কংগ্রেসের আয়োজক সভাপতি লরেটা স্যালড্যানহা। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন আশার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ভার্জিনিয়া পি এলবিনিয়াস।
ওবায়দা কবির বলেন, আমাদের এই কংগ্রেস প্রফেশনালদের পেশাগত উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আশা করি। সারাবিশ্বে সাচিবিক কাজ ও প্রশাসনিক পেশাদারদের চাহিদা বাড়ছে। আমরা সেদিকে লক্ষ্য রেখে পেশাগত উন্নয়ণ ও আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পেশাদারদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করছি।
আমরা মনে করি ভালো সেবার জন্য প্রযুক্তির সঙ্গে সখ্যতা করতে হবে। তাই আমরা প্রযুক্তি শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
প্রশাসনিক ও সাচিবিক পেশাদারদের আন্তর্জাতিক সংস্থা আশার ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত, তাইওয়ান, পাকিস্তান, জাপান, শ্রীলংকা, ব্রুনাই, কোরিয়ার আশার প্রেসিডেন্টগণ এবং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ডেলিগেটরা অংশ নেন।
গত ৩১ আগস্ট এই কংগ্রেসের ডেলিগেটরা ওয়েস্টিনে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য আসেন এবং আগামী ৬ সেপ্টেম্বর তারা বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। এই ৭ দিনের আয়োজনে তারা বিভন্ন কর্মশালা এবং সেমিনারে অংশ নেবেন।