প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটি এবং অধিকাংশ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন মুখ থুবড়ে পড়ছে। সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকায় এসব সংগঠনের মাঠ পর্যায়ের কর্মী ও পরীক্ষিত নেতারা দিন দিন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। এসব সংগঠন ক্রমেই ব্যক্তি কেন্দ্রিক সংগঠনে পরিণত হচ্ছে বলেও দলীয় পরিমণ্ডলেই অভিযোগ উঠছে।
এমনকি আওয়ামী লীগের ভুলের কারণে বিএনপির সমর্থন দিন দিন বাড়লেও দলটির নেতাদের নিজস্ব সিন্ডিকেট ও অবহেলার কারণে প্রতিদিনই কর্মী কমছে বলেও মনে করছেন ত্যাগী নেতারা।
হাতে গোনা ক’জন নেতা-কর্মী ছাড়া এসব সংগঠনের অধিকাংশকেই কোন অনুষ্ঠানে দেখা যায় না বলেও দলের ভেতরেই অভিযোগ আছে। এমনকি টাকার বিনিময়ে পদ পাইয়ে দেওয়ারও অভিযোগ আছে এসব সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে তাই এসব সংগঠনের অবস্থা দিন দিন নাজুক হয়ে উঠছে।
আর এসব কারণেই দলটির প্রধান খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বলেও মনে করছেন বিএনপির ত্যাগী নেতারা।
বিএনপি’র ১১টি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের মধ্যে কেবল স্বেচ্ছাসেবক দলের অবস্থাই যা কিছুটা ভালো। খোদ খালেদা জিয়াও এ সংগঠনটির প্রতি খুশি বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র। তবে আর সব সহযোগী সংগঠনই ঝিমিয়ে পড়ছে দিন দিন।
ঢাকা মহানগর বিএনপি
বিএনপি’র সব চেয়ে বড় শক্তি ঢাকা মহানগর বিএনপি। খালেদা জিয়া এ কমিটিকে শক্তিশালী করতে ২০১১ সালের মাঝমাঝিতে সাদেক হোসেন খোকোকে আহবায়ক ও আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব করে কমিটি পুনর্গঠন করে দেন।
কিন্তু সেই কমিটি আজ পর্যন্ত পুর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। এ নিয়ে নগরীর নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখন বিএনপির সভা-সমাবেশেও ত্যাগী নেতাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
অনেকেই মনে করেন, নগরীর দুই কুতুব মির্জা আব্বাস ও সাদেক হোসেন খোকার অনুসারীদের মধ্যে সমন্বয় না হওয়ায় মহানগর কমিটি পুর্ণাঙ্গ করা যাচ্ছে না।
তবে মহানগর বিএনপির এক নেতা বলছেন, “সাদেক হোসেন খোকা বেশিরভাগ সময় অসুস্থ থাকার কারণে মহানগর বিএনপির পুর্ণাঙ্গ কমিটি করা যাচ্ছে না। আর এ কারণে আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ছে ঢাকা মহানগর বিএনপি।”
ঢাকা মহানগর বিএনপি প্রথম যুগ্ম-আহবায়ক সালাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “বিএনপিকে যারা ভালবাসে না তাদের হাতে এখন ঢাকা মহানগর বিএনপি। এই গ্রুপটি দলকে ও ঢাকা মহানগরকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। কিছু নেতা এখানে এখন দল সংগঠিত ও শক্তিশালী করার চেয়ে পদ কেনাবেচা নিয়েই বেশি ব্যস্ত রয়েছেন।”
তিনি বলেন, “ঢাকা মহানগর বিএনপির এখন নড়বড়ে অবস্থা । এ সংগঠনটি এখন স্থবির হয়ে পড়ছে। বর্তমান কমিটিই এ জন্য দায়ী।”
যুবদল
বিএনপির অন্যতম এই সহযোগী সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি থাকলেও বিভাগ, জেলা ও থানা কমিটি করতে পারছে না নানা কারণে।
যুবদলের এক নেতা জানান, বরিশাল বিভাগসহ কয়েকটি জেলায় যুবদলের পুর্ণাঙ্গ কমিটি করার উদ্যোগ বেশ কয়েকবার নিলেও সফল হয়নি দলটির কেন্দ্র। কোন্দলের কারণে রাজবাড়ি জেলার যুবদলের কমিটি করেও আবার স্থগিত করতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবদলের এক নেতা বলেন, “বিএনপির দায়িত্বশীল এ সহযোগী সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে শাপে-নেউলে সর্ম্পক বিরাজ করায় এবং অর্থের বিনিময়ে পদ দেওয়ার প্রবণতায় এর সাংগঠনিক তৎপরতা দিন দিন ঝিমিয়ে পড়ছে।
যুবদলে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছাড়াও এখনও আব্বাস- গয়েশ্বর অনুসারী, বরকত উল্লাহ বুলু অনুসারী, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও নীরব গ্রুপ, এমনকি জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রের বড় নেতাদের অসুসারী রয়েছে। এসব কারণে সংগঠনটিকে শক্তিশালী করা যাচ্ছে না।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব বলেন, “রাজনীতিতে চাইলেই সব কিছু সব সময় করা যায় না। কোন কিছু করার আগে চিন্তা ভাবনা করে করতে হয়।”
তিনি বলেন, “ওয়ান-ইলেভেনের পর বিধস্ত বিএনপি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফখরুদ্দীন-মউনউদ্দিনের হাতে যুবদলও কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি যুবদলকে আরও এগিয়ে নিতে।”
স্বেচ্ছাসেবক দল
বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দল বেশ সক্রিয়। এ সংগঠনটি দেশব্যাপী আলোচনায় রয়েছে। এ জন্য বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াও সংগঠনটির প্রতি আস্থাশীল বলে জানা গেছে।
বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন এ অবস্থা সে সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু। তিনি তার সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দল সর্ম্পকে বাংলানিউজকে বলেন, “নেতাদের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকায় সংগঠন তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়া ও শক্তিশালী করা সম্ভব হয়েছে।”
বাবু বলেন, “নেতৃত্বের মধ্যে ঐক্য না থাকলে কোন দিনই সংগঠন শক্তিশালী করা সম্ভব না।”
ছাত্রদল
বিএনপির আর একটি শক্তিশালী সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের অবস্থাও এখন অনেকটাই নড়বড়ে। এ সংগঠনটিতে শুরু থেকেই গ্রুপিং ছিল। তবে বর্তমানে এ সংগঠনটিতে প্রায় ১১ টি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এসব গ্রুপ-উপগ্রুপ কোনো না কোনো ‘ভাই’য়ের অনুসারী। ‘ভাইদের’ নিজস্ব রাজনীতির কারণে বিভিন্ন সময় সংগঠনকে নাজুক অবস্থায় পড়তে হয়েছে। ছাত্রদলের নেতারাও জড়িয়ে পড়েছেন দ্বন্দ্ব-সংঘাত-সংঘর্ষে। বারবার দলের হাইকমান্ডের চাহিদা ও আহ্বান সত্ত্বেও ছাত্রদল বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনে জোরালো কোনো ভূমিকাও রাখতে পারেনি।
এসব কারণে এক গ্রুপ কোন কর্মসূচি দিলে অন্যরা দায়সারা কর্মসূচি পালন করে। আর এর প্রভাব পড়ছে বিএনপির আন্দোলনে।
ছাত্রদলে বর্তমানে সক্রিয় থাকা ১১ গ্রুপ হলো- ১. সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু-শহীদুল ইসলাম বাবুল-ওবায়দুল হক নাসির গ্রুপ, ২. আমিরুল ইসলাম আলিম-আবু সাঈদ-আসাদুজ্জামান গ্রুপ, ৩. আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক গ্রুপ, ৪. আমিরুজ্জামান খান শিমুল গ্রুপ, ৫. হাবিবুর রশিদ হাবিব-আনোয়ারুল হক রয়েল গ্রুপ, ৬. বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ-মামুনুর রশিদ মামুন গ্রুপ, ৭. আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল ও আকরামুল হাসান গ্রুপ, ৮. নুরুল ইসলাম নয়ন ও আবু সাঈদ টিটু গ্রুপ, ৯. হাসান মামুন গ্রুপ, ১০. সাইফুল ইসলাম ফিরোজ-সাদিউল কবির নীরব গ্রুপ এবং ১১. আব্দুল হালিম খোকন ও আহসানউদ্দিন শিপন গ্রুপ।
এই এগারো স্বীকৃত গ্রুপের বাইরেও আরও কিছু সাব-গ্রুপেরও অস্তিত্ব রয়েছে ছাত্রদলে।
ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারুল হক রয়েল বাংলানিউজকে বলেন, “ছাত্রদলের এ অবস্থা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।”
তিনি বলেন, “আমাদের সাংগঠনিক দুরদর্শিতার অভাব রয়েছে। যে কারণে সংগঠনটি পিছিয়ে পড়েছে।”
রয়েল বলেন, “এ ছাড়া সরকারের নির্যাতন নিপীড়ন তো আছেই। তাছাড়া এটা বড় একটি কারণ যে আমরা সরকারের হাতে নির্যাতিত।”
কৃষক দল
বিএনপির অন্যতম শক্তিশালী সহযোগী সংগঠন কৃষক দল এখন মূলত অকার্যকর। এ দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু।
১৪ বছর ধরে এ সংগঠনটির কাউন্সিল হয় না। ২০ বছর ধরে এক নেতাই দখল করে আছেন সাধারণ সম্পাদকের পদ। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গত ৫ বছর ধরে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এভাবে জোড়াতালি দিয়ে চলার কারণে ১০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি নামে থাকলেও মুলত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।
মান্নান ভূঁইয়া যখন এই দলের সভাপতি ছিলেন তখন থেকেই (১৯৯২ সাল) শামসুজ্জামান দুদু এ সংগঠনের সেক্রেটারি।
১৯৯৮ সালের ১৬ মে সর্বশেষ কাউন্সিল হয় কৃষক দলের। ওই কাউন্সিলে মাহবুবুল আলম তারা সভাপতি ও শামসুজ্জামান দুদু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তারাকে দল মনোনয়ন না দেওয়ায় তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরে বিএনপি তাকে বহিষ্কার করে। এ সময় মজিবর রহমান মোল্লা ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান। তিনি ২০০৭ সালে মারা যাওয়ার পর অধ্যাবধি ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অবশ্য কৃষকদলের মুখ থুবড়ে পড়ার বিষয়টি মানতে নারাজ সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, “কৃষক দল ঢাকায়ও অনেক কর্মসূচি পালন করে থাকে। তবে এ সংগঠনটি মফস্বল কেন্দ্রিক বলে প্রচার প্রচারণা কম। এজন্যই মনে হয় নিষ্ক্রিয়। আসলে এ সংগঠনটির ১০১ সদস্যের কমিটি আছে। নিয়মিত সভা-সমাবেশও করছে।
মহিলা দল
মহিলাদল এখন একেবারেই নিষ্ক্রিয়। বিএনপি’র এ সহযোগী সংগঠনটিতে শিরিন সুলতানা ছাড়া আর কাউকেই তেমন একটা দেখা যায় না। মাঝে মধ্যে সংগঠনটির সভাপতি নুরে আরা সাফাকে দেখা গেলেও সংগঠনটির কর্মীরা এখন সক্রিয় নেই বললেই চলে।
মহিলাদলের এক ত্যাগী কর্মী বলেন, “শিরিন সুলতানার একগুঁয়েমি আচরণের কারণে অনকেই এখন দূরে সরে আছেন।”
এক সময়ের তুখোড় ছাত্র নেতা হেলেন জেরিন খান, সাইমুন বেগম, শাম্মী আখতার, রেহানা আখতার রানু, ফাহিমা হুসাইন জুবিলীসহ শতাধিক নেতা এখন মহিলা দলের বিভিন্ন পদে রয়েছেন। তবে তারা শিরিন সুলতানার জন্য মহিলা দলের কোন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে না এমন অভিযোগ রয়েছে।
সব কিছু মিলিয়ে মহিলা দল এখন ব্যক্তি কেন্দ্রিক একটি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এ সংগঠনটিতে এখন নেতা ও কর্মী সবই শিরিন সুলতানা একাই। এ কারণেই ঝিমিয়ে পড়ছে এক সময়ের সহযোগী সংগঠন মহিলাদল।
ওলামা দল
জাতীয়তাবাদী ওলামা দল চলছে কিছু মুখ চেনা লোক দিয়ে। প্রায় এক যুগ ধরেই ওলামা দলে দেখা যাচ্ছে এদের। তারাই এ সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
সংগঠনটির সভাপতি মওলানা হাফেজ আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক মওলানা নেছারুল হকসহ হাতে গোনা কয়েকজন সদস্য নিয়মিত বিএনপির অনুষ্ঠানে উপস্থি থাকেন। জিয়ার মাজারে বা অন্য কোন অনুষ্ঠানে দোয়া পড়া ছাড়া আর কোন কাজে এদের তেমন একটা দেখা যায় না। এ সংগঠনটির মধ্যে দ্বন্দ্ব না থাকলেও সংগঠনটিকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে নেতাদের যে দায়িত্ব তা তারা পালন করছে না বলে মনে করেন বিএনপির এক সিনিয়র নেতা।
তার অভিযোগ, এসব নেতা এখন ম্যাডামের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তাকে খুশি করার কাজেই বেশি ব্যাস্ত থাকেন। ফলে সংগঠনটির কর্মী নেই বললেই চলে।
শ্রমিক দল
শ্রমিক দলের নেতা নজরুল ইসলাম খান একযুগ ধরেই এ সংগঠনটির সভাপতি। সম্প্রতি কাউন্সিলের মাধ্যেমে তিনি তৃতীয় বার সংগঠনটির সভাপতি হন।
এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান। ৫ বছর আগেও যে সংগঠনটি কোন কর্মসূচি দিলে সরকারের মধ্যে ভিতির সঞ্চার হতো সেই দলটি এখন ব্যক্তির নাম সর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। নেই পর্যাপ্ত কর্মী, নেই কোন কর্মসূচি। বিশেষ বিশেষ দিন ছাড়া এ সংগঠনটির নামই শোনা যায় না এখন।
সংগঠনটির একটি সূত্র জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ার পর নজরুল ইসলাম খান কেন্দ্রীয় রাজনীতি নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ায় শ্রমিক দলে সময় দিতে পারছেন না। আর এ কারণেই শ্রমিক দল কিছুটা হলেও ঝিমিয়ে পড়েছে। জাসাস
জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) অবস্থা যেন আর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের চেয়েও খারাপ। সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি আব্দুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক মনির খান ছাড়া আর কাউকে তেমন সক্রিয় দেখা যায় না।
প্রয়াত অভিনেতা ওয়াসিমুল বারী রাজিব ও বাবুল আহমেদের নেতৃত্বে জাসাসের যে রমরমা অবস্থা ছিলো তা আর এখন নেই। রাজিব মারা যাওয়ার পর বাবুল আহমেদ অনেকটাই দলের মধ্যে কোনঠাসা হয়ে পড়েন। পরে মালেককে সভাপতি ও মনির খানকে সাধারণ সম্পাদক করে জাসাস কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
কিন্তু দেশের অধিকাংশ স্থানেই কোন কমিটি করতে পারেনি তারা।
এমনকি ঢাকা মহানগরীতেই জাসাসের অনেক কমিটি এখনও গড়া সম্ভব হয়নি বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জাসাস নেতা। টাকার বিনিময়ে কমিটি করারও অভিযোগ তোলেন তিনি।
এছাড়া সংগঠনটির মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বও রয়েছে। সম্প্রতি ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে জাসাসের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।