ইরান ও উত্তর কোরিয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে মার্কিন বিরোধী দেশ দুটির মধ্যে অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
তবে দেশ দু’্িট যৌথভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং নিজেদের মধ্যে বিজ্ঞান প্রতিনিধিদল বিনিময় করবে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি তথ্য, প্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবেশ, কৃষি ও খাদ্য বিষয়ে উভয় দেশ প্রযুক্তিগত বিনিময়ের ব্যাপারে একমত হয়েছে বলেও জানানো হয় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে।
উভয় দেশের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে যুক্তরাষ্ট্রসহ এর মিত্র পশ্চিমা বিশ্ব। পিয়ং ইয়ং ইরানকে উন্নত ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি সরবরাহ করছে যার সাহায্যে ইরান পশ্চিমা দেশগুলোর রাজধানীতে হামলা চালানোর সামর্থ্যলাভে অনেকদূর এগিয়ে গেছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
তেহরানে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদনেজাদ এবং উত্তর কোরীয় সরকারের অন্যতম শীর্ষ পদস্থ কর্মকর্তা কিম ইয়ং নামের উপস্থিতিতে ইরানের বিজ্ঞান গবেষণা ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কামরান দানেমজু এবং উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাক উ চুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খোমেনিও উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির প্রেসিডিয়াম কমিটির প্রধান কিম ইয়ংয়ের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার শত্রু অভিন্ন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিমাদের চরম প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত এই দেশ দু’টির কর্মকর্তারা আগে থেকে বলেই আসছেন, পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা একই পরিখায় দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করছেন।