সোনালী ব্যাংক বা হলমার্কের দুর্নীতি নিয়ে এ দেশের মানুষ এখন মাথা ঘামায় না বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “সোনালী ব্যাংক বা হলমার্কের দুর্নীতি নিয়ে এ দেশের মানুষ এখন মাথা ঘামায় না। মানুষ খোঁজে তার বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান হলো কি না বা দ্রব্যমূল্য বা যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্ভোগ সহনীয় পর্যায়ে আছে কি-না।”
শনিবার বিকেলে রাজশাহী ও পাবনা সফর শেষে ঢাকা ফেরার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জ-সয়দাবাদ-হাটিকুমরুল মহাসড়কের কড্ডার মোড়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “দেশের মানুষের চাহিদা নিয়েই যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে আগামীতে ৮ মাসের টার্গেট নিয়ে আমি কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে আমি ৫৫টি জেলার রাস্তাঘাট পরিদর্শন করেছি।”
সম্প্রতি দেশজুড়ে সোনালী ব্যাংক ও হলমার্কের প্রায় সাড়ে ৩৬শ কোটি টাকার দুর্নীতিতে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “এসব দুর্নীতিতে সরকারের উন্নয়ন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত হবে না। বরং বর্তমান সরকার যে কোনো দুর্নীতির বিষয়ে একেবারেই ‘জিরো-টলারেন্স’।”
তিনি বলেন, “সোনালী ব্যাংক বা হলমার্কের দুর্নীতির তদন্ত করে দোষীদের অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। দুর্নীতিগ্রস্তরা কখনই পার পাবে না।”
সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা এবং সিরাজগঞ্জ শহরের সবুজ কানন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জান্নাত-আরা-তালুকদার হেনরী, জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কেএম হোসেন আলীসহ সওজ ও রেল বিভাগের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রেল বিভাগের বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “রেল বিভাগের হিসাব অনুযায়ী বেদখলকৃত জমির পরিমাণ সাড়ে ৪ হাজার একর বলা হলেও বাস্তবে এর দ্বিগুনের চেয়েও বেশি। আগামীতে এসব জমি পুনরুদ্ধারের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”