‘এ সরকারের আমলেই মন্ত্রণালয় ডিজিটালাইজেশন শুরু’

‘এ সরকারের আমলেই মন্ত্রণালয় ডিজিটালাইজেশন শুরু’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘এই সরকারের মেয়াদেই মন্ত্রণালয়গুলোকে ডিজিটালাইজেশনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ বছরের শেষের দিকে অর্থমন্ত্রণালয়ে সব খাতাপত্র উঠিয়ে ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আরও ৩/৪ টি মন্ত্রণালয়ে এ কাজ সম্পন্ন করা হবে।’

সিলেটে বৃহস্পতিবার রাতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ এর ৩ বছর প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি সিলেট শাখা এ সেমিনার আয়োজন করে।

সেমিনারে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশ দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে ডিজিটাল টেকনোলজি প্রয়োজন। সর্বক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন হলে চুরি দুর্নীতি দু:শাসন থাকবে না। ২০২১ সালে দেশের সবচেয়ে বড় কর্মখাত হবে তথ্য প্রযু্িক্ত।’

সরকার এখনো ডিজিটালাইজেশন হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের মেয়াদেই মন্ত্রণালয়গুলোকে ডিজিটালাইজেশন করা হবে। এ বছরের মধ্যে অর্থমন্ত্রণালয়ে সব খাতা-পত্র উঠিয়ে ডিজিটালাইজেশন করা হবে। আরও ৩/৪ টি মন্ত্রণালয়ে এ কাজ সম্পন্ন করা হবে।’

প্রযুক্তি খাতে দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ এ খাতে এতো অগ্রগতি লাভ করেনি- বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে গেছে।’

ভূমি ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি ডিজিটালাইজেশন করা হলে আদালতের ৭৫ শতাংশ মামলা কমে যাবে। যুগ যুগ আগে থেকে ভূমি ব্যবস্থাপনা থাকায় দেশে এখন ভূমি দুর্ভিক্ষ চলছে।’

ভূমি ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজেশনের জন্য এর মালিকানা ও শ্রমিকের অধিকার আগে নিশ্চিত করতে হবে। প্রয্ুিক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে এসব কাজ অতি দ্রুত করা সম্ভব।

সে পথে সরকার এগুবে বলে জানান মন্ত্রী ।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাজের মধ্যে জ্ঞানের চর্চা ও জ্ঞানের সংরক্ষণ সহজ হবে। কর্মসংস্থানে উন্নত সুযোগ বের হবে।’
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি ফয়েজউল্লাহ খান বলেন, ‘ভূমি ডিজিটালাইজেশন হলে আদালতে ৯০ ভাগ মামলা কমে যাবে এবং বিচার ব্যবস্থা সহজ হবে।’

সরকার এখনো ডিজিটালাইজেশনে পিছিয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের সব মন্ত্রণালয়কে এজন্য ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’

অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলে, ‘দেশে সুশিক্ষা বাড়াতে হলে তথ্য প্রযুক্তি খাতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে। এসব পণ্য সহজলভ্য করতে হবে।’

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) সিলেট শাখার চেয়ারম্যান এনামুল কুদ্দুস চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিসিএস-এর সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি প্রমুখ।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর