সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদিত পণ্যের ৭৫ ভাগ বাজার দরে সরকারকেই কেনার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক করতেই এ সুপারিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৬৭তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি এবিএম গোলাম মোস্তফা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) এবং বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি) নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে কর্নফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো), কর্নফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) ও প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ সরেজমিন পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ ও কেপিএম কেনো তাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছে না সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে কমিটি। বাস্তব সমস্যা পর্যবেক্ষণ করতে কমিটি এ দু’টি প্রতিষ্ঠান সরেজমিন পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়।
বৈঠকে বলা হয়, ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো বিজনেস প্রমোশনমূলক কর্মসূচি নেওয়ার ফলে তাদের পণ্য বাজারে ভালো বিক্রি হয়। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরনের কর্মসূচি নিতে পারে না। এজন্য সরকারকেই বাজার দরে এসব পণ্য কিনতে হবে।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান ক্রেতা সরকারকেই হতে হবে। তবে পণ্য বাজার দরেই কিনতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।”
সরেজমিন পরিদর্শন সম্পর্কে বাদল বলেন, “৪২ বছরেও প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ নিজেদের গাড়ি তৈরি করতে পারেনি। শুরু থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি একই অবস্থানে চলছে। কমিটি এ সমস্যার সমাধান চায়। একইভাবে কেপিএমও তার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না। কাফকো নিয়েই মাঝে মাঝে কিছু অভিযোগ ওঠে। এসব বাস্তব অবস্থা জানতেই কমিটি সরেজমিন পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এদিকে সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে সারের সরবরাহ বৃদ্ধি ও কৃষকদের সার পেতে যাতে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় সে বিষয়ে গভীর মনোযোগ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে সারের ডিলারদের কাছ থেকে কৃষকরা যাতে সহজেই সেবা পায় সেজন্য জেলা কমিটিকে মনিটর জোরদার করার সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে যেসব ডিলার সঠিকভাবে কাজ করছে না তাদের ডিলারশিপ অবিলম্বে বাতিলের পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাজারের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে সব প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনে নতুন নতুন দ্রব্য উৎপাদনেরও সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।
কমিটির সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, খান টিপু সুলতান, এসকে আবু বাকের, মইন উদ্দীন খান বাদল ও আমিনা আহমেদ বৈঠকে অংশ নেন।