তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরে হাসিনাকে আশ্বাস মনমোহনের

তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরে হাসিনাকে আশ্বাস মনমোহনের

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

তেহরানে ১৬তম ন্যাম শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে বুধবার তেহরানের গ্র্যান্ড আজাদী হোটেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকে মনমোহন সিং এ আশ্বাস দেন।

শেখ হাসিনার সঙ্গে মনমোহন সিংয়ের এই বৈঠককে ইতিবাচক আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৈঠকটি অত্যন্ত ভালো হয়েছে। বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছেন।

এ প্রসঙ্গে মিজারুল কায়েস বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, তিনি গত কয়েক বছরে যে কমিটমেন্টগুলো করেছেন, তা বাস্তবায়ন করবেন।”

“সবাইকে নিয়ে তিস্তাচুক্তি করার বিষয়ে মনমোহন সিং গুরুত্বারোপ করেন”, যোগ করেন মিজারুল কায়েস।

তিনি জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তিস্তা চুক্তির কথাও বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

পররাষ্ট্র সচিব আরো জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “তার দেশ বাংলাদেশের ভালো উন্নয়ন সহযোগী হতে চায়।”

টিপাইমুখ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু না করার বিষয়ে শেখ হাসিনাকে আশ্ব^স্ত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

বৈঠকে টিপাইমুখ বাঁধের বিষয়ে যৌথ সমীক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভারত থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানির বিষয়টিও বৈঠকের আলোচনায় স্থান পায়।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুত একশ’ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের সুদ হ্রাস এবং ২০ কোটি ডলারকে অনুদানে রূপান্তরের জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

ভারতের বাজারে বাংলাদেশে পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী একে সময়োচিত পদক্ষেপ হিসাবেও উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং ইরানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার আবদুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ