মুদ্রা পাচারের দুটি মামলায় ডেসটিনি ২০০০ এর পাঁচ কর্মকর্তাকে জামিন দেওয়ার আদেশ পুনর্বিবেচনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জহুরুল হক আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এই আবেদনের শুনানির দিন রেখেছেন।
দুদকের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম মিঠু এ তথ্য জানান।
ডেসটিনি ২০০০ এর সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুন-অর-রশিদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমিনসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য গত ১৩ অগাস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে দুটি রিভিশন আবেদন করে দুদক। সেদিন জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আক্তারুজ্জমান আবেদন দুটি গ্রহণ করে ৩০ অগাস্ট শুনানির দিন রেখেছিলেন।
জামিন বাতিলের আবেদনে বলা হয়, মুদ্রা পাচার আইন অনুযায়ী কোনো আসামির জামিন আবেদন শুনানি করার এখতিয়ার হাকিম আদালতের নেই। এই এখতিয়ার শুধু বিশেষ জজ আদালতের। ফলে ডেসটিনি কর্মকর্তাদের জামিনের আদেশটি অবৈধ হয়েছে।
সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পর বিদেশে পাচারের অভিযোগে গত ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেশন (এমএলএম) ও ট্রি-প্লান্টেশেন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থ পাচারের ‘প্রমাণ’ পেয়ে দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলি সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন।
ডেসটিনির সভাপতি হারুন-অর-রশিদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমিনসহ পাঁচ কর্মকর্তা গত ৬ অগাস্ট এ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তা মঞ্জুর করে।