প্রয়োজনে আরো রাস্তা কাটা হবে : তাজুল ইসলাম

প্রয়োজনে আরো রাস্তা কাটা হবে : তাজুল ইসলাম

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার পানি যাতে সরে যেতে পারে এজন্য কয়েকটি রাস্তা কেটে ফেলা হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কিছু রাস্তা কাটার প্রয়োজন পড়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র, এতে পানি সহজে নেমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কোথাও প্রয়োজন হলে আরো রাস্তা কেটে ফেলা হবে।

রোববার (১৯ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে এক সভার আগে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জলবদ্ধতা নিরসন নিয়ে এ সভা হয়।

তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা কখনো কখনো দুর্যোগ মোকাবিলা করি। এবারও আমাদের কিছু কিছু অঞ্চল জলাবদ্ধ হয়েছে এবং প্লাবিত হওয়ার কারণে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক সব প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, জনপ্রতিনিধিসহ সবাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্যোগে আক্রান্ত এলাকায় মানুষের পাশে সর্বাত্মকভাবে অবস্থান করছেন।

সিলেট, সুনামগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোণাসহ যেসব অঞ্চলে জলাবদ্ধতা হয়েছে সেখানে বৃষ্টির পানির পাশাপাশি উঁচু অঞ্চলের পানির প্রভাব আছে বলেও জানান তিনি।

বন্যায় ঢাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে, আপনাদের প্রস্তুতি কী- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একশ অথবা ১১০ বছরে হয়ত এমন দুর্যোগ আসে। এ অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন সময় এমন দুর্যোগ মোকাবিলা করেছে। দুর্যোগের জন্য সবসময় আমাদের প্রস্তুতি থাকে। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে বন্যা মোকাবিলায় যুগ্মসচিব জসিম উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। পরে প্রয়োজনে পরিবর্তন করা হবে।

জলাবদ্ধতা সিটি করপোরেশনের সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মনে করেন মন্ত্রী তাজুল।

তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ঢাকায় যতগুলো খাল আছে সেগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি, অনেকগুলো হস্তান্তরও করেছি। যার সুফল আমরা ইতোমধ্যে ভোগ করছি। যদিও এসব খালের অনেক অংশ অনেকে দখল করে নিয়েছে, যা দখলমুক্ত করা অনেক কঠিন। জলাবদ্ধতার সুফলের নমুনা আমরা দেখছি। আমি যখন শুরুতে মন্ত্রণালয়ে আসছিলাম, তখন জলাবদ্ধতার জন্য গাড়ি আসছিল না, আটকে গিয়েছিল। এখানে এতে পরিমাণ পানি জমা হয়ে গিয়েছিল। আমাদের তেজগাঁও, শান্তিনগরসহ অনেক এলাকায় পানি জমে যেতে। আমরা মনে করি খাল হস্তান্তরের ফলে কিছুটা সুফল আমরা ভোগ করছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, কিছু খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে, উদ্ধারের কাজ আরো চলমান আছে। সিটি করপোরেশনে নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলো নিম্নাঞ্চল বেশিরভাগ। সেখানে অবকাঠামোগত সমস্যাও আছে। যা নিরসনের জন্য ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। কাজ চলমান রয়েছে, কাজটি শেষ হলে সেখানকার পানি ব্যবস্থাপনার উন্নতি হবে।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর