বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানিতে আগ্রহী ওমানের আল বাদি গ্রুপ।
বুধবার শ্রম, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এর আগে সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে ওমানের সংসদ সদস্য ও আল বাদি গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী আবদুল্লাহ্ আল বাদির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, “ওমানের স্বনামধন্য আল বাদি গ্রুপের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আছে। যেখানে প্রায় দশ হাজার শ্রমিকের কাজের সুযোগ রয়েছে। সাক্ষাতকালে প্রতিষ্ঠানটির কর্নধার আলী আবদুল্লাহ্ আল বাদি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।”
মন্ত্রী জানান, আবদুল্লাহ আল বাদি বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে তারা এখনো কর্মী নিচ্ছেন। এখান থেকে যারা যাচ্ছেন, তারা ওমানে কর্মরত বাংলাদেশিদের মাধ্যমে ভিসা নিচ্ছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে নানা অনিয়ম দেখা দিচ্ছে। একাধিক হাত বদলের কারণে ভিসার ব্যয় বাড়ছে। এছাড়া অনেক কর্মী ওমানে গিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার তিন/চার মাস পর অনত্র পালিয়ে যাচ্ছে। ফলে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, “জবাবে আমি তাদের বিচ্ছিন্নভাবে ভিসা না দিয়ে সরাসরি বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে চাহিদাপত্র দিয়ে ভিসা ইস্যু করার পরামর্শ দিয়েছি। সরকারিভাবে ভিসা ইস্যু করা হলে কর্মীদের খরচ কম পড়বে। পাশাপাশি কর্মীদের পাঠানোর সময় একটি চুক্তি থাকতে পারে যাতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান ত্যাগ না করতে পারে।”
এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী জানান, প্রতি মাসে গড়ে ওমানে দশ হাজার কর্মী যাচ্ছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশি কর্মী রয়েছে।