কুরআন পোড়ানোয় সৈন্যের শাস্তি

কুরআন পোড়ানোয় সৈন্যের শাস্তি

আফগানিস্তানে মুসলিমদের কাছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় ছয় সৈন্যকে শাস্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনায় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। ফেব্রুয়ারিতে ওই ঘটনার পরপরই আফগানিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছিল, যা সহিংসতায় রূপ নিলে নিহত হয় ৩০ জন।

শাস্তি পাওয়া দুজন সেনা কর্মকর্তা এবং চারজন সেনা সদস্য। শাস্তি হিসেবে তাদের পদাবনতি, অতিরিক্ত কাজ অথবা বেতন কাটা হতে পারে।

তবে ওই ছয়জনকে কারাদণ্ডের মতো সাজা ভোগ করতে হচ্ছে না। ফলে এই শাস্তি আফগানিস্তানের ক্ষোভ প্রশমন করবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

ওই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশকারী আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবেন তিনি।

কুরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটলেও ধর্ম হিসেবে ইসলামকে হেয় করার কোনো উদ্দেশ্য ওই সৈন্যদের ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান ওয়াটসন।

কুরআন পোড়ানোর পাশাপাশি নিহত এক তালেবান যোদ্ধার গায়ের ওপর মূত্রত্যাগের জন্যও ওই সৈন্যরা শাস্তি পাচ্ছেন। ঘটনার পর ওই ঘটনার ভিডিওচিত্রও প্রকাশ করেছিলেন ওই সৈন্যরা।

সেনাবাহিনীর তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানে একটি বন্দিশিবিরের গ্রন্থাগারের কুরআন এবং ধর্মীয় বিভিন্ন পুস্তক পোড়ানোর এই ঘটনায় এক আফগান সৈন্যের ইন্ধন ছিল।

আফগানিস্তানে মোতায়েন বিদেশি সৈন্যদের সঙ্গে আফগানদের সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

আন্তর্জাতিক