সোনালী ব্যাংকে অনিয়ম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপে প্রশ্ন অর্থমন্ত্রীর

সোনালী ব্যাংকে অনিয়ম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপে প্রশ্ন অর্থমন্ত্রীর

অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপারিশের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এই বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মঙ্গলবার বলেছেন, সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সুপারিশের কোনো এখতিয়ার বাংলাদেশ ব্যাংকের নেই।

“এটা তাদের দায়িত্ব নয়,” উচ্চ শিক্ষায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে মুহিত একথা বলেন।

ব্যাংক কোম্পানি অধ্যাদেশ ১৯৯১ এর ৪৬ (৬) ধারার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে, যাতে দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়াত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।

সোনালী ব্যাংকের ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এই অনিয়মের ধরন খুবই গুরুতর এবং এটা বিশ্বাসযোগ্য নয় যে, এই ধরনের দুর্নীতি পরিচালনা পর্ষদের নজরে আসেনি।

অধ্যাদেশের ৪৬ (৬) ধারায় বলা আছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কার্যক্রম সম্পর্কে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে পারে এবং সরকার ওই প্রতিবেদনকে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।

নিরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল (সাবেক শেরাটন হোটেল) শাখা থেকে ২০১০-২০১২ সময়ে মোট ৩ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এর মধ্যে হলমার্ক গ্রুপ একাই আত্মসাৎ করেছে ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

এছাড়া এই ব্যাংকের গুলশান ও আগারগাঁও শাখা থেকেও ১৪০ কোটি টাকা করে ঋণ দেওয়া হয়েছে, যা তাদের ঋণসীমার অনেক বেশি।

২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে তিন বছরের জন্য সোনালী ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়। আগামী দুই সপ্তাহ পরেই শেষ হচ্ছে এই পর্ষদের মেয়াদ। এই ব্যাংকেরই সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী বাহারুল ইসলাম এই পর্ষদের চেয়ারম্যান।

পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতা সুভাষ সিংহ রায়, সাইমুম সরওয়ার, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ূন, মহিলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জান্নাত আরা প্রমুখ।

অর্থ বাণিজ্য