কাদির খান রাজনীতিতে

কাদির খান রাজনীতিতে

পাকিস্তানের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন সংগঠন গড়ে রাজনীতির মঞ্চে নামার ঘোষণা দিলেন দেশটির পরমাণু বোমার জনক বলে খ্যাত বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান।

প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী খান জারদারিকে নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে পাকিস্তান পিপলস পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারের টানাপোড়েনের মধ্যে সোমবার দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাদির খান তার নতুন উদ্যোগের কথা জানান।

কাদির খানের সংগঠনের নাম হবে ‘তেহরিক-ই-তাহফুজ পাকিস্তান’। এই সংগঠন নিয়ে তরুণদের মধ্যে কাজ করার পরিকল্পনা জানিয়েছেন ৭৬ বছর বয়সি কাদির খান।

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের আগে এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে এই পরমাণু বিজ্ঞানী বলেন, “আমার লক্ষ্য হচ্ছে, তরুণদের উজ্জীবিত করা। তাদের বোঝানো- কাদের ভোট দিতে হবে, আর কাদের ভোট দেওয়া যাবে না।”

পাকিস্তানের অস্তিত্ব রক্ষায় নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে সৎ মানুষদের আনতেই এই উদ্যোগ বলে দাবি করেন কাদির খান, যার বিরুদ্ধে রয়েছে পরমাণু সংক্রান্ত তথ্য পাচারের অভিযোগ।

কাদির খানের দাবি, পাকিস্তানের সনাতন রাজনৈতিক দলগুলো মানুষের স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাদের আর ভোট না দেওয়ার প্রচার চালাবেন তিনি।

ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরমাণু বোমা তৈরির পর কাদির খানকে নিয়ে পাকিস্তানে ‘ধন্য ধন্য রব’ থাকলেও ২০০৪ সালে তার বিরুদ্ধে পরমাণু সংক্রান্ত তথ্য লিবিয়া ও উত্তর কোরিয়ায় পাচারের অভিযোগ উঠলে জনপ্রিয়তায় ভাটার টান আসে।

যুক্তরাষ্ট্র এই সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণ হাজির করার পর তথ্য পাচারের কথা স্বীকারও করেন এই বিজ্ঞানী, যাকে তার অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘নিশান-ই ইমতিয়াজ’ খেতাব দেওয়া হয়।

এরপর পাকিস্তান সরকার তাকে গৃহবন্দি করে। তবে ২০০৯ সালে হাই কোর্ট তাকে মুক্ত নাগরিক ঘোষণা দিয়ে তার চলাফেরায় কোনো বাধা না দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

ভারতের ভোপালে জন্ম নেওয়া ড. কাদির খান এখন স্বাভাবিক চলাচল করতে পারলেও তাকে নজরে রাখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এই বিজ্ঞানী এখনো হুমকি।

আন্তর্জাতিক