গ্রামীণব্যাংকের এমডি নিয়ে ‘ষড়যন্ত্রে’ ৪০৫ শিক্ষকের উদ্বেগ

গ্রামীণব্যাংকের এমডি নিয়ে ‘ষড়যন্ত্রে’ ৪০৫ শিক্ষকের উদ্বেগ

বর্তমান সরকার প্রতিহিংসা এবং জিঘাংসার বশবর্তী হয়ে বিশ্বের দরবারে দারিদ্র্য বিমোচনের অনুসরণীয় মডেল হিসেবে নন্দিত, সুপ্রতিষ্ঠিত এবং সুপরিচিত নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে যে “ষড়যন্ত্র“ করছে, তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০৫ জন  শিক্ষক।

বিবৃতিতে তারা বলেন, সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত, হতদরিদ্র নারী জনগোষ্ঠীর অর্থে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত এ ব্যাংকে তাদের অধিকার প্রয়োগ  থেকে বঞ্চিত করা এবং দরিদ্র নারীদের ক্ষমতায়নকে রহিত করার লক্ষ্যে সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের অধ্যাদেশ সংশোধন করায় আমরা বিস্মিত। নোবেল বিজয়ী একজন সম্মানিত ব্যক্তি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সরকারের যে বৈরী মনোভাব এবং অবস্থান তাতে বিশ্ববাসী উদ্বিগ্ন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে দেশে গুম-হত্যার রাজনীতি, পদ্মাসেতু কেলেংকারী এবং গ্রামীণব্যাংকের প্রতি সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুন্ন হয়েছে।

ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার ও মহাসচিব অধ্যাপক তাহমিনা আখতারের (টফি) নামে পাঠানো বিবৃতে বলা হয়, আমরা মনে করি, গ্রামীণব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের মনোনীত সিলেকশন কমিটি কর্তৃক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের পূর্বের প্রক্রিয়াই যথাযথ ছিল। বর্তমান অধ্যাদেশ সংশোধনের পরিপ্রেক্ষিতে ঋণগ্রহীতাদের মালিকানার ৯৭ শতাংশের মতামতকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে সরকারের (৩ শতাংশ মালিকানা) সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার যে ষড়যন্ত্র তাতে, গ্রামীণব্যাংকের স্বকীয়তা, ঐতিহ্য এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং নাগরিক সমাজের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। আমরা গ্রামীণব্যাংক অধ্যাদেশ, ২০১২ বাতিলের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আরও আছেন অধ্যাপক ড. আবদুল আজিজ, অধ্যাপক ডঃ খলিলুর রহমান, অধ্যাপক ড. এম. ফরিদ আহমেদ, অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক ড. কে এ এম শাহাদাত হোসেন মণ্ডল, অধ্যাপক ড. আ ন ম মুনীর আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. সৈয়দ কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, অধ্যাপক ড. ইয়াকুব আলী, অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম. অধ্যাপক ড. কামাল আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. একরামুল হক, অধ্যাপক ড. মোশারফ হোসেন, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ, অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, ড. ফকির রফিকুল আলম, মতিউর রহমান হীরা, ড. বেলাল উদ্দিন, এ বি এম সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক, অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ড. মোর্শেদ হাসান খান, গোলাম রাব্বানী, হাফিজ উদ্দিন ভূঞা, নাজমুল হোসাইন ও ড. আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী।

উল্লেখিত ৪০৫ জনের মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো লিখিত বিবৃতিতে মোট ২৮ জনের নাম ছিল।

বাংলাদেশ