পদ্মাসেতু নির্মাণে মালয়েশিয়ার চূড়ান্ত প্রস্তাব

পদ্মাসেতু নির্মাণে মালয়েশিয়ার চূড়ান্ত প্রস্তাব

পদ্মাসেতু প্রকল্পে অর্থায়নের চূড়ান্ত প্রস্তাব দিয়েছে মালয়েশিয় সরকার। আর প্রস্তাব পেয়ে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের স্বার্থ বিবেচনায় ব্যাটে-বলে সংযোগ হলেই চুক্তি হবে।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর সেতুভবনের কনফারেন্স হলে যোগাযোমন্ত্রীর কাছে চূড়ান্ত প্রস্তাবটি তুলে দেয় মালয়েশিয়া সরকারের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের বিশেষ দূত দাতো সেরি সামি ভেলু’র নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলকে বিদায় জানিয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “পদ্মাসেতু নির্মাণে মালয়েশিয়া সরকার একটি খসড়া চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে।“

গত ২৮ জুন মালয়েশিয়া পদ্মাসেতু প্রকল্প নিয়ে খসড়া প্রস্তাব দেয়। এরপর গত ১০ এপ্রিল মালেয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে পদ্মাসেতুতে অর্থায়নের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন যোগাযোগমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের জানান, এ প্রস্তাবে টেকনিক্যাল, কনস্ট্রাকসন ও ডিজাইনের দিকটি বলা হয়েছে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটি প্রস্তাবটি যাচাই করবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় কমিটির কাছে পরামর্শ দেওয়া হবে। সমন্বয় কমিটি ঠিক করবে কিভাবে কাজটি সুষ্ঠুভাবে শুরু করা যায়।

মন্ত্রী বলেন, “এটি একটি চুক্তির খসড়া। জাতির স্বার্থে যা ভাল হবে সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পদ্মাসেতু আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। যেভাবেই হোক যথাসময়ে কাজ শুরু করা হবে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বা দুই-এক মাস দেরিতে হলেও সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।“

এ ব্যাপারে তিনি বলেন, “যার সঙ্গে ব্যাটে বলে মিলবে তার সঙ্গেই চুক্তি করা হবে।“

বিশ্বব্যাংকের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, “ সবার সঙ্গেই আমাদের আলোচনার সুযোগ রয়েছে।“  তিনি আরো বলেন, “দাতাদের ব্যাপারটি অর্থ মন্ত্রণালয় দেখবে।“

তবে মালয়েশিয়া সরকারের সরকারি ব্যাংক ‘এক্সিম ব্যাংক’ লিডিং পার্টনার হিসেবে থাকছে বলে জানান মন্ত্রী।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ২৯০ কোটি ডলারের পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করলেও পরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন স্থগিত করে। বিশ্বব্যাংক ঋণ বাতিলের পর ঋণদাতা দুই সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)ও এ ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব দেখাতে থাকে। পরে অবশ্য দুটি সংস্থাই তাদের চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে।

পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের পাশাপাশি এডিবি ৬১ কোটি ডলার, জাইকা ৪০ কোটি ডলার এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা ছিলো। আর বাকি অর্থের যোগান দেওয়ার কথা ছিলো সরকারের।

অন্য একটি সূত্রমতে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ ধরনের বিশাল নির্মাণযজ্ঞের পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে এমন প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে কোনো একটি মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পাবে।

 

বাংলাদেশ