বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে আরও গবেষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিভিন্নভাবে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। তিনি তার বাবার দেখানো পথ ধরেই চলছেন।
শনিবার (৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাঙালির আশীর্বাদ বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে আজ আমরা চলছি বলেই এ অগ্রযাত্রা, অবস্থান। একটা আত্মবিশ্বাস আত্মমর্যাদা নিয়ে বলতে পারি যে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত জায়গায় যাওয়ার সঠিক পথে আছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথে আছে এবং সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাবে ইনশাআল্লাহ।
৭ মে শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথা স্মরণ করে দীপু মনি বলেন, এই ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে যেন না আসতে পারেন এজন্য নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। দলীয় নেতাকর্মীরা যেন তাকে রিসিভ না করতে যান সেজন্য নিষেধ করা হয়েছিল। এমনকি যে বিমানে আসবেন সেই বিমানকে লিখিতভাবে বলা হয়েছিল শেখ হাসিনাকে যেন বহন না করা হয়।
মশিউর রহমানের বই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘লেখার ভেতরে ইংরেজি শব্দ অনেক আছে। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আসলে আরও ভালো লেখা চাই। কারণ তিনি (মশিউর রহমান) একজন শিক্ষক। তার কাছে প্রত্যাশাটা বেশি। বইটির নাম সত্যি খুব ভালো হয়েছে।’
প্রধান আলোচকের বক্তব্য সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন মাটির মানুষ। আগে আমরা বঙ্গবন্ধুর কথা অনেক শুনেছি, কিন্তু এখন তাকে নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এগুলো সম্ভব হয়েছে তার দক্ষ নেতৃত্বে কারণে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা দরকার আছে। কারণ তাকে নিয়ে এখনো আমরা পুরোপুরি আবিষ্কার করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুর এক একটা কথা বা উক্তি এক একটা বাণী হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর এক একটা উক্তি এক একটা দিকনির্দেশনা ছিল— সেগুলো নিয়ে গবেষণা করা দরকার।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি কিন্তু দেশ পরিচালনার জন্য আমার সঙ্গে কবি সাহিত্যিকদের থাকতে হবে। তাই এসব ইতিহাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা দরকার।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাত্র ১৩ বছরে বাংলাদেশ পাল্টে গেছে উল্লেখ করে সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের অভাব দূর করছেন শেখ হাসিনা। দেশে প্রতিটা মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন তিনি। এখন আর আগের মতো মানুষ না খেয়ে থাকে না, মারা যায় না। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব গুণে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আজম শান্তনু প্রমুখ।