গত ২৪ ফেব্রয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এরই মধ্যে প্রায় আড়াই মাসে গড়িয়েছে রুশ বাহিনীর এ অভিযান।
যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রাশিয়া। তবে নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধের চেষ্টাও করে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। প্রতিরোধের মুখে পড়ে রাজধানী কিয়েভ ও এর আশপাশের এলাকা থেকে পিছু হঁটতে বাধ্য হয় রুশ বাহিনী।
যুদ্ধে রাশিয়ার বেশ কয়েকজন জেনারেল নিহত হন। শুধু তাই নয়, হামলা চালিয়ে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার ফ্লাগশিপ যুদ্ধজাহাজ মস্কোভা মিসাইল ক্রুজার পানিতে তলিয়ে দেয় ইউক্রেনীয় বাহিনী।
এই যুদ্ধজাহাজ তলিয়ে দিতে গোয়েন্দা তথ্য সহায়তা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতরের মুখপাত্র বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করেছিলেন। তবে পরে তিনি স্বীকার করেন যে, ‘ইউক্রেনীয়দের তাদের দেশকে রক্ষা করতে সহায়তা করার জন্য’ পেন্টাগন দেশটির সামরিক বাহিনীকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছে।
তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, অন্য দেশও ইউক্রেনকে রাশিয়ান সৈন্য সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগন মুখপাত্র জন কিরবি।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইউক্রেন অনেক দেশের গোয়েন্দা তথ্য একত্রিত করে। যুক্তরাষ্ট্র ‘ইউক্রেনীয়দের কাছে গোয়েন্দা তথ্যের একমাত্র উৎস নয়’।
জন কিরবি বলেন, আমরা ইউক্রেনীয় বাহিনীর গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহের একমাত্র উৎস নই। তারা অন্য দেশগুলো থেকেও গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে। তাদের নিজেদেরও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের দারুণ উৎস রয়েছে।