আইনের শাসন সমুন্নত রেখে শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা অনন্য বলে উল্লেখ করেছে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শনিবার রাতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপূর্বে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের স্থান, স্থাপত্য, প্রতিবদেন ও ছবি সম্বলিত স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন এবং আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
অনুষ্ঠনে স্পিকার বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণ বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় আর এমন সময় সুপ্রিম কোর্টের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত হতে পারাও গৌরবের। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট উদ্বোধন করেন। একই বছর বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান। ‘ সংবিধানের আলোকে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, বিচার পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। নারী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য সংবেদনশীল হয়ে কাজ করতে হবে আইনজীবীদের। তিনি করোনা মহামারিতে উচ্চ আদালত ও অধ্বঃতন আদালতের করোনায় আক্রান্ত ও নিহত আইনজীবীদের স্মরণ করেন।
স্পিকার বলেন, সংবিধান ও আইনগত জটিলতার সময়ে সুপ্রিম কোর্ট ব্যাখ্যা প্রদান করে। সুপ্রিম কোর্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বিচারকার্য সম্পাদন করেছেন। এ সময় তিনি উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্র ও সুশাসন অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন।