ইউরোপিয়ান ফুটবলের তৃতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা ইউরোপা কনফারেন্স লিগ। মর্যাদার দিক থেকে বেশ নিচের দিকে হলেও এ টুর্নামেন্টের ফাইনালে রোমাকে তুলে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি হোসে মরিনহো। এ ফাইনালই যে অনেক অর্থবহ পর্তুগিজ কোচের কাছে, ‘আমি খুব আবেগপ্রবণ। এটা আমাদের জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগ।’
১১ মিনিটে ট্যামি আব্রাহাম করেন রোমার একমাত্র গোল। তারপর থেকে চাপা উত্তেজনা মরিনহোর মনে। স্কোর অপরিবর্তি থাকলে শেষ বাঁশি বাজার কয়েক সেকেন্ড আগে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। ৫৯ বছর বয়সী কোচের চোখে অশ্রু। তাকে ঘিরে ধরেন কোচিং স্টাফের অন্যরা। দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনালে ওঠে ইতালিয়ান ক্লাব।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম হটস্পারের সঙ্গে সময়টা ভালো গিয়েছিল না মরিনহোর। বাজে ফল এবং ড্রেসিংরুম বিতর্কে যেন ক্যারিয়ারই শেষ হতে বসেছিল। সবশেষ স্পাররা বরখাস্ত করলে যোগ দেন ইতালিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় নাম রোমাতে। যারা নিজেদের নামের সুবিচার করতে পারেনি তিন দশক হয়ে গেল। অবশেষে ১৯৯১ সালের পর প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে তারা। এজন্যই বাচ্চাদের মতো কাঁদতে লাগলেন মরিনহো।
পোর্তো, ইন্টার মিলান ও ম্যানইউর পর রোমাকে ফাইনালে তুলে প্রথম কোচ হিসেবে চারটি ক্লাবকে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার বড় মঞ্চে নেওয়ার কীর্তি গড়লেন মরিনহো। এই জয় কতটা আকাঙ্ক্ষিত তা বোঝালেন তিনি, ‘ট্রফি ছাড়া একটি জায়ান্ট ক্লাব এটি। আজ আমরা ট্রফি জিতিনি, কেবল ফাইনালে উঠেছি, কিন্তু এটা তাদের কাছে অনেক অর্থবহ। আমার আবেগটা তাদের জন্য।’
সবশেষ ফাইনালে রোমা ১৯৯১ সালে উয়েফা কাপ ট্রফির শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারেনি ইন্টার মিলানের কাছে হেরে। এবার কি ইউরোপিয়ান শিরোপা খরা কাটিয়ে মরিনহোর প্রথম মৌসুমকে সাফল্যমণ্ডিত করতে পারবে রোমা? তাদের সামনে প্রতিপক্ষ ২০০২ সালে দ্বিতীয়বার উয়েফা কাপ জয়ের পর প্রথম ইউরোপিয়ান ফাইনালে ওঠা ফেনুর্ড। আগামী ২৫ মে আলবানিয়ার তিরানায় হবে ফাইনাল।