গ্রামীণব্যাংক কর্মীর লাথিতে বৃদ্ধের মৃত্যু

গ্রামীণব্যাংক কর্মীর লাথিতে বৃদ্ধের মৃত্যু

টাঙ্গাইলে গ্রামীণব্যাংকের এক মাঠকর্মীর লাথিতে প্রাণ হারালেন আবদুস সালাম (৭০) নামে এক বৃদ্ধ।

নিহত আব্দুস সালাম সখীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কচুয়া গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে আবু সাঈদ গ্রামীণ ব্যাংকের কচুয়া শাখা থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নেন।

১৪ আগস্ট মঙ্গলবার আবু সাঈদ ব্যক্তিগত কাজে টাঙ্গাইল যাওয়ার কারণে তার বাবা আবদুস সালাম ওই দিন বিকেলে সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধের জন্য ব্যাংকে যান।

ওই কেন্দ্রের মাঠকর্মী মনির হোসেনকে না পেয়ে তার সহকর্মী (মাঠকর্মী) এসহাক আলীর কাছে জানতে চান, তার ছেলে আবু সাঈদের ঋণের কিস্তি দেওয়া যাবে কিনা? এনিয়ে এসহাক ও আবদুস সালামের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এসহাক আবদুস সালামকে কিল ঘুষি ও লাথি মারেন।

এসময় আবদুস সালাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।পরে আশপাশের লোকজন সালামকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

১০ দিন হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করে শনিবার বিকেলে তিনি মারা যান।

নিহত আবদুস সালামের ছেলে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা আবু সাঈদ জানান, বাড়িতে না থাকায় বাবা কিস্তি দিতে গ্রামীণব্যাংকে গেলে মাঠকর্মী এসহাক বাবাকে মারধর করেন।

চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে সাঈদ আরও বলেন, “লাথির আঘাতে তলপেটের নাড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার ফলে” বাবা মারা গেছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি গ্রামীণব্যাংকের ব্যবস্থাপককে জানালে তিনি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন।

এবিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংক কচুয়া শাখার ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, “ঘটনার পর গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আবদুস সালামের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মাঠকর্মী এসহাকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এপ্রসঙ্গে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন পিপিএম জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ