প্রায় ৬০০ ফিলিস্তিনিকে কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই কারাগারে আটক রেখেছে ইসরায়েল। ২০১৬ সালের পর এটি সর্বোচ্চ আটকের ঘটনা। সোমবার ইসরায়েলের একটি মানবাধিকার সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে। খবর আল–জাজিরার।
মানবাধিকার সংস্থা হামোকদ নিয়মিত কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বন্দীদের পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে। সংস্থাটি সোমবার জানিয়েছে, মে পর্যন্ত ৬০৪ জন প্রশাসনিক বন্দী কারাগারে আছেন। যাদের প্রায় সবাই ফিলিস্তিনি। তবে, ইহুদিদের বিরুদ্ধে এই ধরনের আটকের ঘটনা তেমন একটা ঘটে না।
বিজ্ঞাপন
তথাকথিত প্রশাসনিক বন্দীদের গোপন প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগও আনা হয় না। এমনকি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করারও অনুমতি নেই এসব বন্দীদের। সাধারণত ছয় মাসের জন্য তাঁদের কারাগারে রাখা হয়। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে বিনা বিচারে কারাগারেই থাকতে হয় এসব ফিলিস্তিনিদের।
ইসরায়েলের দাবি, প্রমাণ সংগ্রহ চলমান থাকলেও আইন অনুযায়ী সন্দেহভাজনদের আটক রাখা যায়। তবে, সমালোচক ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, এই পদ্ধতির ব্যাপক অপব্যবহার করা হয়। এছাড়া সঠিক আইনি প্রক্রিয়াও অনুসরণ করা হয়না।
হামোকদের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের সামরিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে বর্তমানে ২ হাজার ৪৪১ ফিলিস্তিনি সাজা ভোগ করছেন। অপরদিকে ১ হাজার ৪৭৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কারো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, কেউবা বিচারের অপেক্ষায় আছেন। আবার কারো বিচার চলমান।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে সর্বশেষ পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু, তাৎক্ষণিকভাবে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।