বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত (নিতাই) হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ- উত্তরের একটি টিম এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে।
মামলাটি ডিবি তদন্তের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া সেলের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান।
বনানী থানার এসআই ইমদাদ বলেন, মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর হয়েছে। রাতের মধ্যেই মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করবো।
ডিএমপি মিডিয়া সেলের ডিসি মাসুদুর রহমান বিকেলে বলেন, মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন পরিদর্শক আতাউর রহমান।
তিনি বলেন, মামলাটি হস্তান্তর হওয়ার পরে তারা তদন্ত কাজও শুরু করেছেন। তিনি আরও বলেন, মামলাটি যেহেতু এখনো তদন্তাধীন রয়েছে, সেহেতু এ ব্যাপারে কিছুই বলা যাচ্ছেনা। তবে দ্রুত মামলাটির ব্যাপারে অগ্রগতি হবে বলে তিনি জানান।
ডিবির ৮ নম্বর টিমের পরিদর্শক আতাউর রহমান সাংবাকিদের বলেন, তিনি মামলাটি এখনো বুঝে পাননি। তবে ঘটনার পর থেকে ডিবি এ ব্যাপারে কাজ করছিল। মামলাটি রাতের মধ্যে বুঝে পেলে পরিপূর্ণভাবে তদন্তভার চলে আসবে।
বনানী থানার এসআই ইমদাদ হোসেন বলেন, মামলাটি তিনি আজকে (শুক্রবার) রাতের মধ্যেই নতুন কর্মকর্তা পরিদর্শক আতাউর রহমানের নিকট হস্তান্তর করবেন।
এদিকে এই মামলায় র্যাব -১ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল। তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আটকৃতদের নাম না পাওয়া গেলেও যাদের আটক করা হয়েছিল তারা ডা. নিতাইয়ের বাসায় গ্যাসের লাইনের কাজ করার জন্য এসেছিলেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে এই ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হলেও তাদের ব্যাপারে এখনো মুখ খুলছে না পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তদন্তের স্বার্থে কিছু বলাই যাবে না। ঠিক কি কারণে এই হত্যাকা-টি ঘটেছে সে ব্যাপারেও নিশ্চিত নয় পুলিশ।
প্রসঙ্গত বুধবার গভীর রাতে নিজ বাসায় দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মম হত্যাকা-ের শিকার হন বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক স্বাচিপ ও বিএমএ নেতা ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নিতাই। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। বুধবার নিহত ডাক্তারের স্ত্রী লাকি দত্ত সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেন, হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে সম্প্রতি তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল তার প্রতিপক্ষ গ্রুপ।